

লোকসভায় মঙ্গলবার পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill)। বুধবার সংসদে বিশেষ অধিবেশনের তৃতীয় দিনে এই বিল নিয়ে নিম্নকক্ষে বিরোধী ও শাসক দলের মধ্যে বিশদে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তার আগে এই বিল পাশের পিছনে মোদী সরকারের ‘আসল উদ্দেশ্য’ নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস প্রধান তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই মহিলা সংরক্ষণ বিল কার্যকর করার প্রচেষ্টাকে মোদী সরকারের ‘ইচ্ছাকৃত পরিকল্পনা’ বলে উল্লেখ করেছেন খাড়্গে। অন্যদিকে, আপ নেতা সঞ্জয় সিংহও এই বিল নিয়ে বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বুধবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের তৃতীয় দিনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে খাড়্গে বলেন, “২০১০ সালে আমরা এই বিল রাজ্যসভায় পাশ করিয়েছিলাম। কিন্তু লোকসভায় তা পাশ করানো যায়নি। আর তাই এটা নতুন কোনও বিল নয়।” কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ আরও বলেন, “আমার মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই আইন প্রণয়ন করতে চায় সরকার। কিন্তু যদি এর মধ্যে সীমা নির্দেশনা বা জনগণনা না হয়, তাহলে ভাবতে পারছেন এতে কত সময় লাগবে? এই মুহূর্তে আগের ব্যবস্থাতেই চালানো যেত, কিন্তু সরকারের আসলে অন্য কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে।”
অন্যদিকে, বুধবার আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ এই বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “এটা কোনও মহিলা সংরক্ষণ বিল নয়। এটা আসলে ‘মহিলা বেওয়াকুফ বানাও বিল’। আমরা এটা বলছি কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কিছুই তারা রাখতে পারেনি। এই বিলও সেরকমই একটি ‘জুমলা’। বিলের নাম করে আরও একটি ভুয়ো প্রতিশ্রুতি এনেছে ‘মহিলা-বিরোধী’ বিজেপি সরকার। আমাদের দেশের মহিলারা, রাজনৈতিক দলগুলি সবাই এইধরণের নির্বাচনী কৌশলগুলি বুঝি। যদি আপনাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট থাকে, তাহলে ২০২৪ সালে এই আইন প্রণয়ন করুন। তাহলে ‘আপ’ পুরোপুরি এই বিল নিয়ে আপনাদের সমর্থন জানাবে।”
তবে মহিলা সংরক্ষণের এই বিলকে ইতিমধ্যেই বিশেষ শর্তসাপেক্ষে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া মহাজোট। এদিন অধিবেশন শুরুর আগেই খাড়্গে জানিয়েছিলেন, “আমরাও চাই এই বিল পাশ হোক, আইন প্রণয়ন হোক। আর আমরা তাতে পুরোপুরি সহযোগিতা করব। কিন্তু বিলের ত্রুটিগুলি সংশোধন করা প্রয়োজন।” এদিন সংসদে বিশেষ অধিবেশন শুরুর পরেও নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি, ২০২৪ সালে এই আইন প্রণয়নের শর্তও রেখেছে বিরোধীরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন