

দেশদ্রোহী মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানের জামিনের আবেদন আরও একবার খারিজ করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মথুরার একটি আদালত। হাথরাসে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনার খবর করতে গিয়ে মৌলবাদি গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কাপ্পান-সহ আরও একজনকে। এলাকায় শান্তি নষ্ট করার দায়ে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে দেশদ্রোহীর অভিযোগ দায়ের করা হয় কাপ্পানদের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসদমন আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন লঙ্ঘনের ধারাও লাগানো হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অনিল কুমার পাণ্ডে জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানান, হাথরাসের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার খবর করতে গিয়ে আইন ভেঙেছিলেন কাপ্পান ও তাঁর সহযোগী। বিচারক আরও জানান, কাপ্পান সঙ্গে যে মালায়লাম পাবলিকেশনের পরিচয়পত্র নিয়ে গিয়েছিলেন, তা ২০১৮ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মথুরা আদালত এই মর্মে কাপ্পানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে জানায়, বেআইনি কাজের জন্য কাপ্পানের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হত।
গত মাসে মথুরার একটি আদালত কাপ্পানের বিরুদ্ধে শান্তি লঙ্ঘনের আশঙ্কা সম্পর্কিত অভিযোগের মামলা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সংশ্লিষ্ট ৬ মাসের মধ্যে কাপ্পান-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তদন্ত শেষ করতে না পারার কারণে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মন্তের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট রাম দত্ত রাম অভিযুক্তদের বেশ কিছু ধারা থেকে মুক্ত ঘোষণা করে। কিন্তু মথুরা আদালত অন্য একটি ধারায় অভিযুক্ত কাপ্পানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন