

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আত্মহত্যা করেছিল কিশোরীটি। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮। এর আগের সাত মাসে সাত বার তাঁকে বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। ভয়ঙ্কর এই মানবপাচারের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে যখন ছত্তিশগড়ের জাসপুর জেলার বাসিন্দা ওই কিশোরীকে এক ব্যক্তি অপহরণ করে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই মামলায়। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ - তিন রাজ্যের পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চাওয়ার পরই কিশোরীটির বাবা-মা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরের বাসিন্দা এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক মাস আগে কিশোরীটিকে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে থেকে নিয়ে এসেছিলেন এই দম্পতি। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাঁরা কিশোরীটিকে কিনেছিলেন এবং ছাতারপুরে এনে ২০,০০০ টাকায় কাল্লু রাইকওয়ার নামে একজনকে বিক্রি করে দেয়।
এরপর মেয়েটিকে নিয়ে শুরু হয় কেনাবেচার খেলা। মেয়েটিকে শেষ কেনেন উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের বাসিন্দা সন্তোষ কুশওয়াহা, ৭০,০০০ টাকা দিয়ে। এরপর সন্তোষ কুশওয়াহার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে বাবলু কুশওয়াহার সাথে বলপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয় কিশোরীটির। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে ললিতপুরেই আত্মঘাতী হয় কিশোরীটি।
ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের উপজাতি এলাকার আরো কোনো মেয়ে এইধরনের নৃশংস ঘটনার শিকার হয়েছে কিনা, ছাতারপুর পুলিশ এখন সেই বিষয়টির তদন্ত করে দেখছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন