

ইলেকট্রিসিটি বিল বকেয়া থাকায় এক কৃষককে চূড়ান্ত অপমান করার অভিযোগ উঠলো এক বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় ওই চাষীর আটা মিল এবং মোটরসাইকেলও বাজেয়াপ্ত করে কোম্পানির আধিকারিকরা। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন মুনেন্দ্র রাজপুত নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই চাষী। নিজের সুইসাইড নোটে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখে গেছেন সরকার যেন তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ বিক্রি করে তাঁর ঋণ পরিশোধ করে। মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরের এই ঘটনা দেশের কৃষকদের অসহায় পরিস্থিতি আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
চিঠিতে কৃষক লিখেছেন, "যখন বড় বড় রাজনীতিবিদ বা ব্যবসায়ীরা কেলেঙ্কারি করেন, তখন সরকারী কর্মচারীরা তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। যদি তাঁরা ঋণ নেয়, তাহলে তা পরিশোধ করার জন্য অফুরন্ত সময় পান তাঁরা, এমনকি ঋণ মওকুফও হয়ে যায় তাঁদের। কিন্তু কোনো গরীব মানুষ যদি সামান্য পরিমাণও ঋণ নেই, তাহলে তা আদায়ের জন্য সরকার তাঁর পেছনে পড়ে থাকে। গরীব মানুষটি কেন ওই টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না, একবারও তা জানার চেষ্টা করেনা সরকার। উল্টে, জনসমক্ষে তাঁকে চূড়ান্ত অপমান করা হয়।"
কৃষকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মহামারী পরিস্থিতিতে ফসল ঘরে তুলতেই পারেননি রাজপুত। সমস্ত ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে বিদ্যুৎ বিল মেটাতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ডিস্কোম রাজপুতকে একটি নোটিশ পাঠায় যেখানে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ অবিলম্বে ৮৭ হাজার টাকা দিতে হবে তাঁকে। এই নোটিশ পাঠানোর কিছু দিন পরেই রাজপুতের আটার মিল এবং মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করে ডিস্কোমের অফিসাররা।
মুনেন্দ্র রাজপুতের পরিবারে স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন