

বর্তমান রাজনীতিতে দল ভাঙ্গানোর ঘটনা নতুন নয়। নির্বাচনের এক মাসের মধ্যেই বড়সড় দলবদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিহারের রাজনীতিতে। জানা গেছে, শীঘ্রই নীতিশ কুমারের দলের ১৭ জন বিধায়ক যোগ দেবেন বিরোধী দল আরজেডিতে। এই ঘটনা নিয়েই এই মুহূর্তে তুঙ্গে উঠেছে উত্তেজনা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আরজেডি নেতা শ্যাম রজক দাবি করেন, "জেডিইউ-র ১৭ জন বিধায়ক আমার মাধ্যমে আরজেডি সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা আরজেডিতে যোগ দিতে চান। কিন্তু আমরা এই মুহূর্তে যোগদান করাচ্ছি না। তার কারণ অ্যান্টি-ডিফেকশন আইন ভাঙতে চাইছি না আমরা, এটা করলে ওঁরা মেম্বারশিপ হারাবেন।"
রজকের অভিযোগ, যেভাবে নতুন জোট সরকারের ওপর বিজেপি কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে, তাতে জেডিইউ বিধায়করা বিজেপির ওপর অসন্তুষ্ট।
তিনি আরো বলেছেন, যদি একসঙ্গে ২৫-২৬ জন বিধায়ক দল ছাড়েন, তাহলে অ্যান্টি-ডিফেকশন আইন কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। খুব দ্রুত এই ঘটনা ঘটতে চলেছে।
তবে জেডিইউর দাবি, জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এই জাতীয় কথা বলা হচ্ছে। জেডিইউর মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন বলেছেন, "জেডিইউর বিধায়করা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। জেডিইউ তে কোনো সমস্যা নেই।" সম্প্রতি, অরুণাচলে ছয় জেডিইউ বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অরুণাচলে যা ঘটেছে তাতে আমাদের দল ক্ষুব্ধ, কিন্তু এর কারণে এখানে আমাদের বিধায়করা বিভ্রান্ত হবে না। যাদবের এই ধরনের কাজে অনেকেই অসন্তুষ্ট।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন