

কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। আন্দোলন চলাকালীন দিল্লির ঠান্ডায় এবং অসুস্থতার কারণে অন্তত ৩৩ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সংগঠনগুলির। এছাড়াও পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে আরও বেশ কয়েকজনের। এঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রবিবার পালন হবে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস।
অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা আজ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালনের ডাক দিয়েছে। জানা গেছে অন্তত ১ লক্ষ গ্রামে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালিত হবে। এদিন ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই গ্রামগুলিতে মৃত কৃষকদের স্মরণসভা, কৃষি আইন সংক্রান্ত প্রচার, প্রার্থনাসভা এবং মানব বন্ধনের আয়োজন করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত এই তিন কৃষি আইন স্থগিত রাখার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। তারপরে কিছুটা হলেও নরম হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকদের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, নয়া কৃষি আইন তাদের ভালোর জন্যই তৈরি করা হচ্ছে। আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই এই আইন বাতিলের দাবি জোরালো করছেন দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা। কৃষকদের এই আন্দোলন থেকে সরাতে একাধিকবার বৈঠকে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কোনটাই ফলপ্রসূ হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে সংশোধনী প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইন পুরোপুরি বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা সরকারের সেই প্রস্তাবও প্রত্যাখান করে দিয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন