

কৃষি বিলের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনের পেছনে পাকিস্তান এবং চীনের ইন্ধন আছে। বুধবার এই অভিযোগ এনেছেন কেন্দ্রীয় ক্রেতা উপভোক্তা দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী রাওসাহেব দানভে। বুধবার মহারাষ্ট্রের বাদনাপুর তালুকার কোল্টে টাকলি এলাকায় এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধনে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাওসাহেব একথা বলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে শিবসেনা।
তাঁর দাবী, কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে কৃষকরা যে আন্দোলন করছেন তার পেছনে মদত জোগাচ্ছে চীন এবং পাকিস্তান। যদিও কীসের ভিত্তিতে তিনি এই দাবী তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে শিবসেনা মুখপাত্র অরবিন্দ সাওন্ত জানিয়েছেন – বিজেপি নেতৃত্বরা কী বলছেন তা তাঁরা নিজেরাই জানেন না। মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তাঁদের সমস্ত বোধ লোপ পেয়েছে।
এদিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এর আগে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে মুসলিমরা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিলো। যদিও সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। এবার কৃষকরা একই সুরে বলছেন নতুন কৃষি আইনে তাঁদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
তাঁর মতে, দেশে এখন কৃষকদের যে আন্দোলন হচ্ছে তা আদৌ কৃষক আন্দোলন নয়। এর পেছনে চীন এবং পাকিস্তানের হাত আছে। মুসলিমরা এই জিনিস প্রথম শুরু করেছিলো। তারা বলেছিল, এনআরসি আসছে, সিএএ আসছে, মুসলিমদের ছয় মাসের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে। একজনও মুসলিমকে দেশ ছাড়তে হয়েছে কি? এখন কৃষকরা একই সুরে কথা বলছে। এটা আসলে অন্য দেশের চক্রান্ত।
শ্রী দানভে আরও জানিয়েছেন, সরকার ২৪ টাকা কেজি দরে এবং ৩৪ টাকা কেজি দরে চাল এবং গম কিনে ২ টাকা এবং ৩ টাকা কেজি দরে মানুষকে দিচ্ছে। এরজন্য সরকারের ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। সরকার কৃষকদের উন্নয়নের জন্য বহু টাকা খরচ করছে বলেও তিনি জানান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন