

করোনা অতিমারিকালে প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসক, নার্সরাই নিজেদের বেতন থেকে বঞ্চিত হয়ে চলেছেন। গত ৩ মাসে বিজেপি শাসিত কর্নাটকের ৬৯টি সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার ও মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা কোনও বেতন পাননি। কর্ণাটক অ্যাসোসিয়েশন ফর রেসিডেন্ট ডক্টর (কার্ড)-এর তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এই হাসপাতালগুলোর মধ্যে ১৬টি হাসপাতাল মেডিক্যাল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের অধীনে রয়েছে। অন্যদিকে, ৫৩টি হাসপাতাল স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে রয়েছে।বেতন না-পাওয়ার প্রতিবাদে সোমবার একটি প্রতীকী প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছিল কার্ড-এর তরফে।জানানো হয়েছে, বহু চিকিৎসক গত ৩ মাসে কোনও বেতন পাননি।
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিবমোগ্গা ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ৫৭ জন রেসিডেন্ট ডাক্তার ৩ মাস ধরে বেতন পাননি। পাশাপাশি চামরাজনগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল কলেজের ৩৮ জন চিকিৎসক আড়াই মাস কোনও বেতন পাননি, বেঙ্গালোর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ৫৪ চিকিৎসক ২ মাসের বেশি সময় বেতন পাননি। অন্যদিকে কেআর হসপিটাল, মাইসুরু মেডিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এমএমসিআরআই) ৮০ জন চিকিৎসক ১ মাস বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছেন।
এমএমসিআরআই-এর ডিন ড. সিপি নানজারাজ জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসেই শুধু চিকিৎসকরা বেতন পাননি। উপস্থিতির হিসাব করে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সকলকে বকেয়া বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও, এক সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসকদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল এডুকেশন মন্ত্রী ড. কে সুধাকর। কিছু প্রক্রিয়াগত কারণে এই দেরী হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন