

কেন্দ্রের তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের কৃষক সংগঠনগুলোর ডাকা 'ভারত বনধ্'-এ স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হলো উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় বনধ সমর্থনকারীদের দফায় দফায় অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রইলো ট্রেন, বাস ও অন্যান্য যানবাহন।
গতকাল রাত থেকেই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শহরে সিপিআই(এম) ও বাম নেতৃত্বকে গৃহবন্দী করার কাজ শুরু হয়। যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কানপুরে সুভাষিণী আলি সহ একাধিক জায়গায় সিপিআই(এম) নেতৃত্বকে গৃহবন্দী করে। বনধের দিন বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েও রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রেপ্তার হন একাধিক বাম কর্মী সমর্থক।
কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রয়াগরাজ এবং বারাণসীতে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন অবরোধ করেন সমাজবাদী পার্টির কর্মীরা। রাজ্যের রাজধানী লখনউতে অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় বাস চলাচল।
সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র আব্দুল হাফিজ গান্ধী জানিয়েছেন, "কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি আমরা। এই আইন কর্পোরেটপন্থী এবং কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি করবে।"
অন্যদিকে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন, অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা সহ আরও কয়েকটি কৃষক সংগঠনের সদস্যরা রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষোভ শুরুর আগেই একাধিক রাজনৈতিক ও কৃষক নেতাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন(UPSRTC) কর্মীরাও দেশব্যাপী হওয়া এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের জরুরি পরিষেবা ব্যাতীত সমস্ত রকম পরিষেবা বন্ধ রেখেছে তারা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন