চার বছর আগে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংসের শুরু। মোদীর দাবীগুলো আরেকবার দেখে নেওয়া যাক। নোট বাতিলের ৪ বছর পূর্তিতে রবিবার এক ট্যুইট বার্তায় একথা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এদিনই এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবী করেছেন নোটবন্দীর কারণে দেশে দুর্নীতি অনেক কমেছে এবং স্বচ্ছতা এসেছে। এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, উপকারী সিদ্ধান্ত ছিল।
ট্যুইটারে তিনি লেখেন, "ডেমোনেটাইজেশন কালো টাকা কমাতে, করের আনুগত্য বাড়াতে এবং ফর্মালাইজেশনে সহায়তা করেছে। অনেক স্বচ্ছতা এনেছে সবকিছুতে। দেশের অগ্রগতির পক্ষে এই ফলাফলগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।"
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মাত্র চার ঘন্টার নোটিশে মধ্যরাত থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে এবং সন্ত্রাসবাদ দমন করতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় তিনি ৫০ দিনের সময় চেয়েছিলেন, বলেছিলেন এর মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে যে কোনো শাস্তির জন্য প্রস্তুত তিনি।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই দাবি দাবিই থেকে গেছে, বাস্তবায়িত হয়নি। নোট বদলের জন্য এর পরের কয়েক মাস ব্যাঙ্ক ও এটিএমের সামনে মানুষের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়েছেন, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু কতটা পরিমাণ কালো টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এসেছে সেই হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি।
বরং এই নোট বন্দীর কারণে দেশের অর্থনীতি ধসে পড়ে। বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ভারতের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেখানে ৮.২৫ শতাংশ ছিল, ২০১৯ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৫.০২ শতাংশে। এর প্রধান কারণ নোটবন্দীর কারণে মানুষের হাত থেকে নগদ অর্থ চলে যায়।
নোটবন্দীকে হাতিয়ার করে বিরোধীরাও বারবার বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর কয়েকজন পুঁজিবাদী বন্ধুকে সহায়তা করতে নোটবন্দী করেছিলেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।