প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রথম সারির এক বিজেপি নেতা মনোহর লাল খট্টরেরও ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের কোনো নথি নেই বলে জানালো আরটিআই। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া হরিয়ানার রাজ্যপাল ও সে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীরও ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের কোনো প্রয়োজনীয় নথি নেই বলে জানা গেছে এই আইনে।
জানুয়ারির ২০ তারিখে, হরিয়ানার পানিপথের এক আরটিআই কর্মী পিপি কাপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ও রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যের নাগরিকত্বের প্রমাণ সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে একটি আরটিআই করেছিলেন। এই আরটিআইয়ের উত্তরে হরিয়ানার পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার পুনম রথি জানান যে, তাঁদের কাছে এই ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়ে কোনো তথ্য থাকতে পারে, তবে সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন মনোহর লাল খট্টার জোর গলায় ঘোষণা করেছিলেন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে অসমের ধাঁচে এই রাজ্যে এনআরসি লাগু করবেন তিনি। এমনকি তখনই নৌবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচএস ভাল্লার সাথে বৈঠক করে এনআরসি লাগু করার উদ্যোগও শুরু করে দেন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে হরিয়ানায় প্রায় ১৫০০ জন এমন ব্যক্তি রয়েছেন যারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের স্বীকার হয়ে এখানে এসেছেন। এদের মধ্যে কেবল একটি মুসলিম পরিবার রয়েছে। এই মুসলিম পরিবারটিকে ছাড়া বাকি সবাইকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে একটি আরটিআইয়ের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও নাগরিকত্ব প্রমাণের কোনো নথি নেই। তিনি জন্মসূত্রে নাগরিক।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।