Bihar: চম্পারণে কোভিডে মৃত্যু ৫৪ জন শিক্ষকের - নেই বেতন, নেই কোনো ক্ষতিপূরণ

মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক। তাঁরা গত চার মাস ধরে নিজেদের বেতন পাচ্ছিলেন না। অসুস্থ হলে চিকিৎসা করানো তো সেখানে দূরের কথা।
ছবি- প্রতীকী
ছবি- প্রতীকী

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিহারের চম্পারণে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জন সরকারি শিক্ষকের। এই পরিস্থিতিতে জেলার স্কুলগুলোতে পড়াশোনার অবস্থা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। উপরন্তু, শিক্ষদের বেতন মাসের পর মাস ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে। মৃতদের পরিবারও পায়নি কোনও ক্ষতিপূরণ।

রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফে মোট শিক্ষক মৃত্যুর একটি তথ্য তৈরি করা হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার বিনোদ কুমার বিমল জানিয়েছেন, ২০২১-এর এপ্রিল থেকে মে মাসে ২৯ জন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে পশ্চিম চম্পারণে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। এর ফলে স্কুল খুললে শিক্ষাব্যবস্থার উপর বড়সড় কোপ পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অনলাইন ক্লাসও ঠিকমত হচ্ছে না। শিক্ষকরা আর্থিক কষ্টে রয়েছেন। প্রতি মাসে বেতন হচ্ছে না। এদিকে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে অসুস্থ হলে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পারছেন না শিক্ষকরা।

চম্পারণের একটি শিক্ষক সংগঠন বিহার পঞ্চায়েত নগর প্রারম্ভিক শিক্ষক সঙ্ঘ জানিয়েছে, সময় মতো বেতন হলে অনেক শিক্ষকেরই মৃত্যু আটকানো সম্ভব হতো। এর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হলে তো অবস্থা আরও খারাপ। সংগঠনের অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট অমরদীপ কুমার জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক। তাঁরা গত চার মাস ধরে নিজেদের বেতন পাচ্ছিলেন না। অসুস্থ হলে চিকিৎসা করানো তো সেখানে দূরের কথা। এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক শিক্ষকের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে।

সঞ্জয় কুমার, বিহার শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মে মাসের শুরুতেই ঘোষণা করেছিলেন কোভিড আক্রান্ত হয়ে কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু শিক্ষকদের একটা বড় অংশের অভিযোগ মৃত একজন শিক্ষকের পরিবারও সেই ক্ষতিপূরণ পায়নি।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in