৫৪ BJP নেতার নিকট আত্মীয় রাজনীতিতে, এঁরাই পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দেয়: কংগ্রেস নেতা

বোরা বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ছেলে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, পীযূষ গয়াল এবং ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাবারা হয় মুখ্যমন্ত্রী অথবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন।
৫৪ BJP নেতার নিকট আত্মীয় রাজনীতিতে, এঁরাই পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দেয়: কংগ্রেস নেতা
প্রতীকী ছবি সংগৃহীত
Published on

প্রাক্তন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার সদস্য রিপুন বোরা বুধবার একটি তালিকা প্রকাশ করে দাবি করেছেন ৫৪ জন বিজেপি নেতার বাবা, ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনি সহ কোনো না কোনো আত্মীয় সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করেন, অথচ এই বিজেপিই পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁটা দেয়।

বোরার দাবি, অনেক বিজেপি সাংসদ-বিধায়কেরই নিকটজন সংসদ বা বিধানভায় আছেন। ওই দলের নৈতিক অধিকার নেই কংগ্রেস বিশেষ করে গান্ধী পরিবারের সমালোচনা করার।

কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ছেলে পঙ্কজ সিং উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, পীযূষ গয়াল এবং ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাবারা হয় মুখ্যমন্ত্রী অথবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও আরও ২৩টি নামের উল্লেখ করেছেন তিনি যারা বর্তমানে লোকসভা বা বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার সদস্য।

বোরা আরও বলেন এপর্যন্ত ১৪ জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৬ জন কংগ্রেসের বাকি আটজন অন্য দলের। ৬ কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে মাত্র তিনজন গান্ধী পরিবারের।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে যখন কংগ্রেস বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে জয় লাভ করেছিল, তখন সোনিয়া গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা প্রত‍্যাখান করেন এবং মনমোহন সিংয়ের হাতে দায়িত্ব তুলে দেন। মনমোহন সিংয়ের ১০ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে, রাহুল গান্ধী সহজেই নিজের পছন্দের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।

তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী দেশের স্বার্থে নিজেদের জীবন বলি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দু'জনেই সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন।

- With IANS Inputs

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in