

জাতিগত ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে বেশ কয়েকজন সাংসদ লোকসভায় জিতেছেন। এমনই অভিযোগ করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি। তাঁর অভিযোগ, ওই আসনগুলি সিডিউল কাস্টের জন্য সংরক্ষিত। এই তালিকায় আছেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ মোট পাঁচজন সাংসদ।
এই তালিকায় কারা আছেন? জিতেন রাম মাঝির দাবি, বিজেপির দুজন, তৃণমূলের একজন ও কংগ্রেসের একজন এবং অপরজন নির্দল হিসাবে জিতেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁদের নামও উল্লেখ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসপি সিং বাঘেল, বিজেপি সাংসদ জয়সিদ্ধেশ্বর শিবাচার্য মহাস্বামীজী, কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ সাদিক, তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও নির্দল সাংসদ নবনীত রবি রানা লোকসভা নির্বাচনে ভুয়ো সার্টিফিকেট পেশ করে সংরক্ষিত আসন থেকে জিতেছেন।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, শুধু লোকসভা নয়, কর্মসংস্থান ও স্থানীয় নির্বাচনেও ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র পেশ করা হচ্ছে। এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া দরকার। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাঁরা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তাঁরা অবশ্য আগেও এই অভিযোগ মানতে চাননি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের দাবি, উত্তরপ্রদেশে তিনি যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেখানে বাঘেলরা তফশিলি জাতিভুক্ত। অন্যদিকে, তাৎপর্যের বিষয়, এনডিএর সহযোগী শক্তি হিসাবেই রয়েছেন মাঝি।
যদিও তাঁর বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলার ইতিহাস রয়েছে। কোভিড সার্টিফিকেটে মোদির ছবি দেওয়া নিয়ে একদিকে যেমন বিরোধীরা সরব হয়েছিল। পাশাপাশি বিরোধিতা করেছিলেন জিতেন মাঝিও। ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিরুদ্ধে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র প্রদানের অভিযোগ তুলে বিতর্ক তৈরি করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন