"দেশীয় গোরু বিজ্ঞান" পরীক্ষায় অংশ নেবে ৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী - দাবি রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের
দেশীয় গোরু নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ বাড়াতে "দেশীয় গোরু বিজ্ঞান" পরীক্ষার আয়োজন করেছে কেন্দ্র সরকার। আগামী বৃহস্পতিবার "Holy Cow" নিয়ে হওয়া অনলাইন পরীক্ষায় ৫ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী অংশ নেবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। এই পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা যাতে অংশ নেয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে বলে ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি লিখেছে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন বা ইউজিসি।
এক ঘন্টার এই অনলাইন পরীক্ষার সমস্ত স্টাডি মেটারিয়ালস রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ভারত ও রাশিয়ার পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে রেডিয়েশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গোবর ব্যবহার করা হয়। গ্যাস লিক থেকে ভোপালবাসীদেরও রক্ষা করেছিল এটি। দেশী গোরুর দুধে সোনা থাকা নিয়ে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন, স্টাডি মেটারিয়ালসেও সেই একই কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, "দেশী গোরুর কুঁজে থাকা সৌর নাড়ী সৌরশক্তি শোষণ করে একটি বিশেষ উপায়ে তাকে সোনায় রূপান্তরিত করে, এর ফলে গোরুর দুধের রঙ হলুদ হয়"।
এই পরীক্ষা সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাঠিরিয়া বলেছেন, "এর মধ্যে অবৈজ্ঞানিক কিছুই নেই। আমরা গোরুর ভারতীয় জাতের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরতে চাই। তাই আমরা এই পরীক্ষা নিচ্ছি।" গত ৫ জানুয়ারি দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। ১২ ফেব্রুয়ারি ইউজিসি সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে "কামধেনু গৌ-বিজ্ঞান প্রচার প্রসার" পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য চিঠি দিয়েছিল।
যে ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছে ইউজিসি, তার মধ্যে একটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির এই অনুরোধে স্তম্ভিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীরা। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপক এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "গবেষণার জন্য প্রাপ্ত ৬০ কোটি টাকা এখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়নি কেন্দ্র সরকার। শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট আদর্শ ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।" অন্য এক অধ্যাপক বলেন, "আমি আশঙ্কা করছি এর পিছনে যথেষ্ট সুচিন্তিত পরিকল্পনা রয়েছে।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।