
উত্তরাখণ্ডের পর এবার জম্বু কাশ্মীরের কিশতোয়ার। মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে নেমে এলো ভয়াবহ হড়পা বান। যার জেরে অনেকেই আটকে পড়েছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ১২০ জনেরও বেশি। ২০০-র বেশি মানুষ নিখোঁজ। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এইসময় চশোতি গ্রাম থেকে শুরু হয় 'মচৈল মাতা যাত্রা'। সেই উপলক্ষ্যে বহু পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন ওই গ্রামে। তাঁবু খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই চশোতি গ্রামের কাছেই মচৈল মাতার মন্দিরের কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। নেমে আসে হড়পা বান। যার জেরে ভেসে গিয়েছে সব তাঁবু। বহু মানুষ নিখোঁজ। ঘটনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজ মাধ্যমে (সেই সমস্ত ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেন পিপলস রিপোর্টার)।
জানা গেছে, এই হড়পা বানে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী (সিআইএসএফ)-র দুই কর্মীও। এছাড়া আরও তিন সিআইএসএফের জওয়ান নিখোঁজ রয়েছেন। কিশতোয়ারের ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ শর্মা জানিয়েছেন, 'চশোতি গ্রামে হড়পা বান নেমে এসেছে। এই গ্রাম থেকে 'মচৈল মাতা যাত্রা' শুরু হয়। ঘটনার পর পরই উদ্ধারকারী দল ওই গ্রামে পৌঁছেছে। উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির খোঁজ খবরও নিয়েছেন। স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার শর্মা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ দ্রুত শুরু হয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা পুলিশ, সেনা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলগুলিকে দ্রুত উদ্ধার কাজ পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধরালী এবং গ্রাম থেকে নেমে এসেছিল হড়পা বান। যার ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন