

আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় তিন বছরের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হল তামিলনাড়ুর উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কে পনমুডিকে। ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই সাজা শুনিয়েছে। তবে এখনই মন্ত্রীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে না। হাইকোর্টের এই রায়ের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীকে।
১.৭৫ কোটি টাকার অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদের অভিযোগ উঠেছে বর্ষীয়ান ডিএমকে নেতা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারই এই মামলায় মন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় তাঁকে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই নিয়ম অনুযায়ী, উচ্চ শিক্ষার দপ্তরটি মন্ত্রীর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়।
মামলাটি ২০০২ সালে। দ্য ডিরেক্টরেট অফ ভিডিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি করাপশন (ডিভিএসি)-এর অভিযোগ, ১৯৯৬-২০০১ সালের মধ্যে মন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর সম্পত্তি করেছেন কে পনমুডি। এরপর মামলার তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তদন্তে জানা যায়, ২০০৬-২০১১ সালের মধ্যে খনিমন্ত্রী থাকার সময় কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি করেছিলেন পনমুডি।
গত ২৮ জুন একটি নিম্ন আদালত প্রমাণের অভাবে পনমুডি এবং তাঁর স্ত্রীকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলায় ৭৩ বছর বয়সী পনমুডিকে দোষী সাব্যস্ত করে হাইকোর্ট। ৩ বছরের জেলের পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্য একটি সূত্র মারফত জানা গেছে, মন্ত্রীর স্ত্রীকেও ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন