কয়েক মিনিটেই ২ কোটি থেকে বেড়ে ১৮ কোটি টাকা - জমি জালিয়াতির অভিযোগ রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে

এই অভিযোগ প্রকাশ‍্যে আসার পর গভীর রাতে ট্রাস্ট জানিয়েছে, এই চুক্তি এক বছর আগে হয়েছিল। এক বছর আগের দাম অনুযায়ী জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে জমির দাম অনেক বেড়ে গেছে।
কয়েক মিনিটেই ২ কোটি থেকে বেড়ে ১৮ কোটি টাকা - জমি জালিয়াতির অভিযোগ রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে
ছবি সৌজন্যে - ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

অযোধ‍্যায় রাম মন্দিরের জমি কেনার ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম হচ্ছে। রবিবার একই সময়ে দেশের দুটি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে প্রেস কনফারেন্স করে এই অভিযোগ করলেন দুই ভিন্ন দলের রাজনীতিবিদ।

আম আদমি পার্টির রাজ‍্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং লখনৌ থেকে এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা অযোধ্যার প্রাক্তন বিধায়ক পবন‌ পান্ডে অযোধ্যা থেকে প্রেস কনফারেন্স করেছেন। দু'জনেই অভিযোগ করেছেন, নিবন্ধিত চুক্তি অনুযায়ী মন্দির কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ জমির অতিরিক্ত অংশ ২ কোটি টাকায় এক ব‍্যক্তিকে বিক্রি করার কথা চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১৮.৫ কোটি টাকায় ওই জমিটি শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টকে বিক্রি করা হয়। দু'জনেরই প্রশ্ন, কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি জমির দাম ২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৮.৫ কোটি টাকা কীভাবে হতে পারে?

দুই রাজনীতবিদই প্রেস কনফারেন্সে দুটি চুক্তিপত্রের অনুলিপি প্রকাশ করেছেন। প্রথম চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে কোনো এক কুসুম পাঠকের থেকে কোনো এক সুলতান আনসারি জমিটি কিনছেন। ১.২০৮ হেক্টর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই জমিটির সরকারি হিসেব অনুযায়ী মূল্য হয় ৫.৭৯ কোটি টাকা। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী ২ কোটি টাকাতেই তা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৫.১১ মিনিটে এই বিক্রয় নথিভুক্ত হয়।

দ্বিতীয় চুক্তিপত্রটি ওইদিনই সন্ধ্যা ৫.২২ মিনিটে নথিভুক্ত করা হয়। যেখানে জমির মালিক হিসেবে সুলতান আনসারির নাম উল্লেখ রয়েছে এবং ১৮.৫ কোটি টাকায় রাম জন্মভূমি ট্রাস্টকে তা বিক্রি করা হয়েছে।

প্রেস কনফারেন্সে সঞ্জয় সিং বলেন, "পাঁচ মিনিটের মধ্যে কিভাবে একই সম্পত্তির মূল্য ২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৮.৫ কোটি টাকা হতে পারে? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সিবিআইকে অবশ্যই এই বিষয়টির তদন্ত করে দেখতে হবে। ট্রাস্ট কী হিন্দু ভক্তদের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে?"

অপরদিকে সমাজবাদী পার্টির নেতা পান্ডে বলেন, "সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে ট্রাস্ট এবং মেয়র এই জালিয়াতির বিষয়ে পুরোটাই জানতেন। কোটি কোটি হিন্দুরা এই মন্দির নির্মাণের জন্য টাকা দিয়েছেন। কোনো প্রতারণামূলক কাজে তা ব্যবহার করা যাবে না।"

এই অভিযোগ প্রকাশ‍্যে আসার পর গভীর রাতে একটি বিবৃতি জারি করে ট্রাস্ট জানিয়েছে, এই চুক্তি এক বছর আগে হয়েছিল। এক বছর আগের দাম অনুযায়ী জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল সেখানে। কিন্তু বর্তমানে জমির দাম অনেক বেড়ে গেছে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in