
গত একবছরে ভারতে অতি-ধনী ব্যক্তির (UHNWI) সংখ্যা কমেছে ৭.৫ শতাংশ। তবে, 'নাইট ফ্র্যাঙ্ক ওয়েলথ রিপোর্ট- ২০২৩' ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, আগামী পাঁচ বছরে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ৫৮.৪ শতাংশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, যাদের মোট সম্পদের মূল্য ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি (প্রায় ২২৭ কোটি টাকা) তাঁদের 'আল্ট্রা হাই নেট ওয়ার্থ ইন্ডিভিজুয়াল’ বা অতি-ধনী ব্যক্তি (UHNWI) হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
বুধবার, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতি-ধনী (UHNWI) এবং ধনীদের (HNWI) সংখ্যা তুলে ধরতে একটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক রিয়েল এস্টেট কনসালটেন্সি সংস্থা- নাইট ফ্র্যাঙ্ক (Knight Frank)। তাতে জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে ভারতে অতি-ধনী (UHNWI) ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১২,০৬৯ জন। আগামী ৫ বছর বা ২০২৭ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১৯,১১৯-এ পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতে যাঁদের মোট সম্পদের মূল্য ১ মিলিয়ন ডলারে, তাঁদেরকে ধনী (HNWI) হিসাবে ধরা হয়। নাইট ফ্র্যাঙ্ক ওয়েলথ রিপোর্ট অনুসারে - ২০২১ সালে ভারতে এই ধনী (HNWI) ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৭৪ জন। ২০২২ সালে তা ৪.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭১৪ জনে। 'নাইট ফ্র্যাঙ্ক' রিপোর্টে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০২৭ সালে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৭২-এ পৌঁছাবে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ভারতে বিলিওনেয়ারের (billionaire) সংখ্যাও বেড়েছে ১১ শতাংশ। ২০২১ সালে ভারতে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ১৪৫ জন, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৬১ জন।
পাশাপাশি, আগামী পাঁচ বছরে এশিয়ায় অতি-ধনীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 'নাইট ফ্র্যাঙ্ক’ জানিয়েছে - ‘২০২৭ সালের মধ্যে এশিয়ায় অতি-ধনীর সংখ্যা ২ লক্ষ ১০ হাজার ১৭৫-এ পৌঁছাবে। এর ফলে, ইউরোপকে ছাপিয়ে আমেরিকার পরে দ্বিতীয় স্থান দখল করবে এশিয়া।’
এদিকে, ২০২২ সালে ভারতে অতি-ধনী ব্যক্তির সংখ্যা ৭.৫ শতাংশ হ্রাস নিয়ে একটি ব্যখ্যাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দা, সুদের হার বৃদ্ধি এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ধনীদের বিনিয়োগ বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ভারতেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হ্রাস ভারতের ধনীদের বিনিয়োগকেও প্রভাবিত করেছে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন