

জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় ভালো ফল না হওয়ায় আত্মঘাতী হলেন দিল্লির এক কিশোরী। আটতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ১৭ বছরের ওই কিশোরী। সুইসাইড নোটে, জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় পাশ করতে না পারায় বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মৃত ছাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির জামিয়া নগর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার পর জয়েন্ট এন্ট্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই কিশোরী। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা ছিল ওই কিশোরীর। প্রথম বার জয়েন্টে বসেন কিশোরী। কিন্তু আশানুরূপ ফল করতে পারেননি তিনি। পুলিশের অনুমান, এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।
শুক্রবার শাহীনবাগে নিজের আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন ওই কিশোরী। ঝাঁপ দেওয়ার ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশি তদন্তে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আমি পারলাম না। জয়েন্ট পরীক্ষায় পাশ করতে পারলাম না।’’
ওই কিশোরীর বাবা প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত ছিলেন। মা গৃহকর্মী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আত্মহত্যার ইঙ্গিত নাকি আগেই মিলেছিল। পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে আত্মহত্যা করবে, মাকে জানিয়েছিলেন কিশোরী। কিন্তু সেই মুখের কথা যে এমন ভাবে সত্যি হয়ে যাবে, সত্যিই যে মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে, ভাবতে পারেননি তার মা।
ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা আইন (বিএনএসএস) এর ১৯৪ ধারার মামলা রজু করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
(এখানে আত্মহত্যা প্রতিরোধ হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া আছে। আপনি বা আপনার পরিচিত কারোর সহায়তার প্রয়োজন হলে অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন। সর্বভারতীয় হেল্পলাইন নম্বর - ০২২-২৭৫৪৬৬৬৯)
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন