Forest: দেশজুড়ে ১৩,০০০ বর্গকিমি বনাঞ্চল জবরদখল হয়ে গিয়েছে! চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ পরিবেশ মন্ত্রকের

People's Reporter: অন্তত ২৫ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রায় ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল জবরদখল হয়ে রয়েছে। এই আয়তন দিল্লি, সিকিম ও গোয়ার ভৌগলিক এলাকার থেকেও বেশী।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি - সংগৃহীত
Published on

দেশজুড়ে সঙ্কটের মুখে বনাঞ্চল। অন্তত ২৫ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রায় ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল জবরদখল হয়ে রয়েছে। এই আয়তন দিল্লি, সিকিম ও গোয়ার ভৌগলিক এলাকার থেকেও বেশী। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে কেন্দ্রের পরিবেশ মন্ত্রকে জমা দেওয়া রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির রিপোর্ট থেকে। যদিও এখনও ১০ টি রাজ্য এই সংক্রান্ত তথ্য পরিবেশমন্ত্রকে জমা দেয়নি। ফলে জবরদখল হওয়া বনভূমির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বছর সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদনে সরাসরি দাবি করা হয়েছিল, দেশজুড়ে অন্তত ৭,৫০,৬৪৮ হেক্টর অর্থাৎ ৭,৫০৬.৪৮ বর্গ কিলোমিটার জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে। এই তথ্য সামনে আসার পরেই নড়ে চড়ে বসে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (এনজিটি)। এরপরেই কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয় সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দখল হওয়া বনভূমির পরিমাণ একত্রিত করে রিপোর্ট জমা দিতে।

সেই নির্দেশ মেনে গত সপ্তাহে এনজিটিকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রক। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বর্তমানে দেশজুড়ে ২৫ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ১৩,০৫৬ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চল দখল হয়ে গিয়েছে। সেগুলি হল - আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, ছত্তিশগড়, দাদার ও নগর এবং দমন ও দিউ, কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পুদুচেরি, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, সিকিম, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম এবং মণিপুর।

তবে এখনও পর্যন্ত বিহার, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, নাগাল্যান্ড, দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ-এর কোনও তথ্য নেই। তাই মনে করা হচ্ছে বনাঞ্চল জবরদখলের পরিমাণ আরও বাড়বে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। সে রাজ্যে ৫,৪৬০ বর্গকিমি বনাঞ্চল জবরদখল রয়েছে। এরপরেই রয়েছে আসাম, সেখানে জবরদখল হয়েছে ৩,৬২০ বর্গকিমি বনাঞ্চল। যদিও মন্ত্রক জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪০৯.৭৭ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল দখলমুক্ত করা গিয়েছে।

মূলত যে এলাকা বা অঞ্চলকে সরকারের তরফে বনভূমির তকমা দেওয়া হয়, সেই সমস্ত অঞ্চলগুলিকে রেকর্ডেড ফরেস্ট এরিয়া (আরএফএ) হিসাবে ধরা হয়। এমনকি সেই এলাকায় বিপুল গাছ আছে কি নেই, তা বিবেচ্য নয়। আরএফএ-কে আরও তিনটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে: সংরক্ষিত বন বা রিজার্ভ ফরেস্ট - যেখানে শিকার এবং চারণের মতো কার্যকলাপগুলি সাধারণত নিষিদ্ধ; সুরক্ষিত বন বা প্রটেক্টেড ফরেস্ট, যেখানে নির্দিষ্টভাবে কিছু কার্যকলাপ অনুমোদিত; এবং অশ্রেণীবদ্ধ বন বা আনক্লাসড ফরেস্ট, যেগুলি সংরক্ষিত বা সুরক্ষিত হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ নয়।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in