আওয়াজ তুলতে, ক্ষোভ প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি - সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণে মোদীকে চিঠি প্রাক্তন আমলাদের

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে 'ঘৃণার রাজনীতি' করা হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা ক্রমশ বাড়ছে। এই অভিযোগ তুলে তা বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখলেন শতাধিক প্রাক্তন আমলা।
প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদী
Published on

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে 'ঘৃণার রাজনীতি' করা হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা ক্রমশ বাড়ছে। এই অভিযোগ তুলে তা বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখলেন শতাধিক প্রাক্তন আমলা।

দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজীব জং, প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব জি কে পিল্লাই, মুম্বাইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার জুলিও রিবেইরো সহ মোট ১০৮ জন প্রাক্তন আমলা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, "দেশে ঘৃণাভরা ধ্বংসের উন্মত্ততা প্রত্যক্ষ করছি আমরা। যেখানে কেবল মুসলমান বা অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরাই বলি হচ্ছেন না, সংবিধানকেও বলি দেওয়া হচ্ছে। প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্টস হিসেবে এইরকম চূড়ান্তভাবে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে চাই না, কিন্তু পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়েছে, যেভাবে নিরলস গতিতে আমাদের প্রতিষ্ঠাতাদের তৈরি সাংবিধানিক ভবন ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে আমরা কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। ক্ষোভ ও রাগ প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি। গত কয়েক বছর এবং বিশেষ করে শেষ কয়েক মাসে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিশেষ করে মুসলিমদের বিরূদ্ধে ঘৃণামূলক সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশ কয়েকটি রাজ্যে - আসাম, গুজরাট, হরিয়ানা, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখান্ড এবং দিল্লি। দিল্লি (যদিও এখানেও কেন্দ্র সরকারের অধীনে পুলিশ কাজ করে) ছাড়া বাকি সব রাজ্যগুলি বিজেপি শাসিত। এই ঘটনা ভয়ের নতুন মাত্রা অর্জন করেছে।"

চিঠিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে এই সবগুলো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছাড়া আর কিছু নয়। সর্বোচ্চ স্তরের রাজনৈতিক অনুমোদন ছাড়া এগুলো সম্ভব না।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, "এই বিশাল সামাজিক হুমকির মুখে আপনার নীরবতা আমাদের বধির করে দিচ্ছে। আমরা আপনার বিবেকের কাছে আবেদন করছি আপনার প্রতিশ্রুতি 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস' পূরণ করে এই ঘৃণার রাজনীতি বন্ধ করুন।"

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in