

দিপাবলি, ছট পুজো - পরপর উৎসব। এই উৎসবের মরশুমে ছুটি পেয়ে সুরাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু ঘরে ফেরা হলো না বিহারের বাসিন্দা বীরেন্দ্র কুমারের। স্টেশনে ভিড়ের মধ্যে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হলো তাঁর।
দীপাবলি ও ছট পুজো উপলক্ষ্যে সুরাট থেকে যে যার গন্তব্যে স্থলে যাচ্ছিলেন। সুরাট স্টেশনে কার্যত পা দেওয়ার জায়গা নেই গত কয়েকদিন ধরে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়ে। শনিবার সকালেও একই দৃশ্য দেখা যায়। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাপ্তি গঙ্গা এক্সপ্রেসে উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে বীরেন্দ্র কুমার সহ বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক পড়ে যান। বাকিরা তাঁদের পা দিয়ে মাড়িয়েই ট্রেনে উঠে পড়েন।
আহত সকলকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা বীরেন্দ্র কুমারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুরাটের সাংসদ দর্শনা জারদোস আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বীরেন্দ্রর বাড়ি বিহারের ভাগলপুরের জামসি গ্রামে। সুরাটে এক হীরের দোকানে কর্মরত ছিলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিম রেলের মুখপাত্র সুমিত ঠাকুর জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। উৎসবের মরসুমকে সামনে রেখে এই বছর পশ্চিম রেলওয়ে মুম্বই, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশ জুড়ে ৪৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করেছে। ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করছেন। এই ট্রেনগুলি ব্যবহার করে 7 লাখেরও বেশি যাত্রী তাদের গন্তব্যে ভ্রমণ করছেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সুরাট স্টেশনে ১৬৫ আরপিএফ এবং জিআরপি মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন