

বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে আরও নামলো ভারতের স্থান। গত বছরের তুলনায় ২ ধাপ পিছনে হটে ৫৩ তম স্থানে চলে এল। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সমীক্ষায় রীতিমতো খারাপ পারফরম্যান্স ভারতের। ২০১৯ তে ভারতের স্থান ছিল ৫১ নম্বরে এবং স্কোর - ৬.৯। ২০২০ স্কোর কমে হয় ৬.৬১ এবং স্বাভাবিকভাবেই ২ ধাপ পিছিয়ে যায়। ২০১৪ সালে এই তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ২৭ নম্বরে। তারপর থেকেই ক্রমাগত পিছিয়ে চলেছে।
মোট ১৬৭ টি দেশের মধ্যে এই সমীক্ষা চালিয়েছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। প্রত্যাশিতভাবেই সবার শেষে উত্তর কোরিয়ার। প্রথম স্থানে আছে নরওয়ে। তারপরে যথাক্রমে আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা। মোট চারটি ভাগ করা হয়েছে এই তালিকা। এর মধ্যে ২৩ টি দেশে সম্পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে বলে অভিমত এই সমীক্ষার। এবং ৫২ টি দেশে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র। ভারতের অবস্থান এই ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের তালিকায়। এশিয়ার মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান পূর্ণ গণতন্ত্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে। ইওরোপের দুটি দেশ যথাক্রমে ফ্রান্স ও পর্তুগাল পূর্ণ গণতন্ত্রের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর মতে ভারতে করোনা পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্রের মান দ্রুত নিম্নগামী হয়েছে। উঠে এসেছে পরিযায়ী শ্রমিক, কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গও। এমনকি নাগরিকত্ব বিলে ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এই সূচকে খুব স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে কেন্দ্র। তবে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় ভারতে গণতন্ত্র সূচক অপেক্ষাকৃত কিছুটা ভালো।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন