

ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ব্রিকস। নতুন করে ১৯টি দেশ ব্রিকসের সদস্যপদ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীন, ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠন করা এই সংগঠন কি আগামী দিনে পশ্চিমী দেশগুলিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে? তাহলে কি পশ্চিমাদের একচেটিয়া আধিপত্য শেষের দিকে? আন্তর্জাতিক মহলে এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।
জুন মাসের ২-৩ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ব্রিকসের একটি বৈঠক রয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকেই আগ্রহ প্রকাশকারী দেশগুলির বিষয়ে আলোচনা হবে। ১৩টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এবং ৬টি দেশ অ-আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসে যোগদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সৌদি আরব, ইরানের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা, আরব আমিরশাহী, আলজেরিয়া, মিশর, বাহারিন, ইন্দোনেশিয়া সহ একাধিক দেশ সেই তালিকায় রয়েছে। ২০০৬ সালে ব্রিকস গঠন হওয়ার পর থেকে মাত্র একটি দেশ নতুন করে যোগ দিয়েছিল (দক্ষিণ আফ্রিকা,২০১০)।
ব্রিকস যে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্প্রতি ব্রিকসের দেশগুলি নতুন মুদ্রা চালু করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। যার ফলে সরাসরি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে মার্কিন ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রিকস দেশগুলি যদি নতুন কোনো মুদ্রার প্রচলন করে তাতে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ডলার এবং আইএমএফ-র স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস মুদ্রা। এই মুদ্রা প্রচলনে অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে চীনের। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই চীন বিশ্বের একাধিক দেশের সাথে ইউয়ানে ব্যবসা করতে শুরু করে। যার জেরে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে থাকে একাধিক দেশ। বিশ্ববাজারে পশ্চিমাদের আধিপত্য ভেঙে ফেলতেই নতুন মুদ্রা প্রচলনের ভাবনা ব্রিকসের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন