

আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছেন কমলা হ্যারিস। শুক্রবারই আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তাঁর মনোনয়ন স্বীকার করেছেন। আগেই ঠিক হয়েছিল যে এবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না ৮১ বছর বয়স্ক জো বাইডেন। এরপরেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এই নির্বাচনে জয়ী হলে কমলা হ্যারিসই হবেন আমেরিকার প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি।
প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন গ্রহণ করার পরেই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ হেনেছেন হ্যারিস। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প চান আমেরিকাকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে। এই নির্বাচন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে চলেছে। শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাই কল্পনা করুন যিনি কোনও সীমা মেনে চলেন না। তিনি কীভাবে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির বিশাল ক্ষমতা ব্যবহার করবেন? তিনি যা করবেন তা আপনার জীবনকে । তিনি আরও বলেন, বহু দিক থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন অসতর্ক ব্যক্তি, তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনার পরিণতি অত্যন্ত গুরুতর হতে পারে। শিকাগোতে অনুষ্ঠিত চারদিনের ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে বক্তব্য রাখার সময় ৫৯ বছর বয়স্ক কমলা হ্যারিস একথা বলেন।
অন্যদিকে কমলা হ্যারিস মনোনয়ন গ্রহণ করার পর এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর এক্স বার্তায় তিনি বলেন, আমি গর্বিত যে আমার সহকারী কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে আমাদের পক্ষ দেওয়া মনোনয়ন স্বীকার করেছেন। তিনি এক উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্রপতি হবেন কারণ তিনি সবসময় আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করেন।
রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত হবার পর তাঁর মায়ের কথাও উঠে এসেছে কমলা হ্যারিসের মুখে। তিনি তাঁর মা শ্যামলা গোপালনের কথা উল্লেখ করে বলেন, মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি ভারত থেকে একা ক্যালিফোর্নিয়া এসেছিলেন। তাঁর একটাই স্বপ্ন ছিল, তিনি একজন বিজ্ঞানী হবেন এবং পৃথিবী থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্মূল করবেন। হ্যারিস আরও বলেন, যখন নিজেদের বাড়ি কেনার সাধ্য ছিল না, সেই সময় তিনি ইষ্ট বে তে এক ঘরে ভাড়া থাকতেন। যেখানে বহু শ্রমজীবী মানুষের বাস ছিল। নিজের বাবার প্রসঙ্গে হ্যারিস বলেন, তিনি জামাইকান ছিলেন এবং সবসময় আমাকে ভয়হীন হয়ে থাকবার শিক্ষা দিয়েছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন