ইরাক-আফগানিস্তানের তুলনায় ইউক্রেন সভ্য - মার্কিন সাংবাদিকের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা

ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁর মন্তব্য বর্ণবিদ্বেষমূলক বলে উল্লেখ করে সমালোচনা করা হয়। নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘সাদা চামড়ার লোক বলেই সভ্য হবে?’
চার্লিন ডি'আগাতা
চার্লিন ডি'আগাতাছবি - সংগৃহীত

পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন বিভিন্ন দেশের বহু মানুষ। এরই মধ্যে এক মার্কিন সাংবাদিকের মন্তব্যের জেরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হল।

ইরাক ও আফগানিস্তানের তুলনায় ইউক্রেন সভ্য বলে মন্তব্য করলেন তিনি। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিক জানান, ইরাক ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের তুলনা করা যাবে না। বিতর্কের জেরে পরে অবশ্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিনিধি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।

ইউক্রেনে 'যুদ্ধ' নিয়ে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিদেশ বিষয়ক সাংবাদিক চার্লিন ডি'আগাতা বলেন, ‘যথাযথ সম্মান বজায় রেখেই বলছি। ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো এই জায়গাটা (ইউক্রেন) নয়। যেখানে কয়েক দশক ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এটা তুলনামূলকভাবে সভ্য, তুলনামূলক ইউরোপিয়ান শহর। আমায় খুব সতর্কভাবে শব্দ বেছে নিতে হচ্ছে।'

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সেই মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। টুইটারে একটি নাগরিক অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির শেয়ার করা ভিডিয়োর ভিউ হয় ৪.১ মিলিয়ন। ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁর মন্তব্য বর্ণবিদ্বেষমূলক বলে উল্লেখ করে সমালোচনা করা হয়। নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘সাদা চামড়ার লোক বলেই সভ্য হবে?’

সেই বিতর্কের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে নেন ওই সাংবাদিক। বিবৃতি দিয়ে বলেন, 'এমনভাবে কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষমা চাইছি।' সঙ্গে তিনি দাবি করেন, তিনি বোঝাতে চেয়েছে যে সম্প্রতি ইউক্রেনের মানুষ এরকম 'যুদ্ধ' যে দেখেননি।

চার্লিন ডি'আগাতা
বেছে বেছে ভারতীয় পড়ুয়াদের বাধা, মারধর, পাসপোর্ট ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ইউক্রেন সেনার বিরুদ্ধে

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in