

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত বহুমানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সেই যুদ্ধের কারণে রেহাই পেলনা কৃষ্ণসাগরের ডলফিনও। বিগত কিছুদিন ধরে একের পর এক ডলফিনের মৃত্যুতেই উঠছে সেই প্রশ্ন। ইউক্রেন নাকি ডলফিনগুলিকে মেরে ফেলছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য, এমন তথ্য উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে।
ডলফিনের দেহ ভেসে আসাতে বিজ্ঞানীরা কার্যত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করেছেন। কিন্তু পরে দেখা যায় এই মৃত্যু নিয়ে অনেক যুক্তি উঠে আসছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডলফিন গুলো রাশিয়ার পাহারাদার হিসাবে কাজ করত। ডলফিন গুলিকে প্রশিক্ষণ দিত রুশ নৌবাহিনী। এর আগে রাশিয়ার নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস করে ইউক্রেন সেনার ক্ষেপণাস্ত্র। এরপর কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত নৌ ঘাঁটিগুলিতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডলফিন কাজে লাগায় পুতিনের দেশ। তবে কী সেই নজরদারি এরাতে ডলফিন মেরে ফেলছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী?
সূত্রের খবর, ঐ ডলফিনগুলিকে রাখা হয়েছিল মূলত শত্রুদের ডুবুরি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের জন্য। এছাড়াও ডলফিনগুলি সমুদ্র তলদেশে বিস্ফোরণ সামগ্রী বসাতে সক্ষম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চার বছর আগেও সামরিক শক্তি হিসাবে ডলফিনের ব্যবহার করেছিল রাশিয়া। এই ডলফিনদের প্রশিক্ষণের কাজ সোভিয়েত সময় থেকেই শুরু হয়।
তুরস্কের এক গবেষণাগার থেকে জানা যাচ্ছে ডলফিন গুলি যে বিস্ফোরণে মারা যাচ্ছে এমনটা নাও হতে পারে কারণ তাদের দেহে কোনোও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আবার কোনো কোনো বিজ্ঞানীদের দাবি জলের নীচের বিস্ফোরণে সামুদ্রিক প্রাণীর সরাসরি মৃত্যু না হলেও তারা সেই আওয়াজ সহ্য করতে না পেরে অন্য অঞ্চলে পাড়ি দেয়। ডলফিনগুলোও হয়তো সেই কারণে অন্য কোথাও গিয়ে খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন