দু'দশক পরে রণে ভঙ্গ মার্কিন সেনার, কাবুলিওয়ালার দেশে আবার কায়েম হতে চলেছে তালিবানি শাসন

এপ্রিলেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন, আফগানিস্তানে ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ তিনি আর চালাবেন না
দু'দশক পরে রণে ভঙ্গ মার্কিন সেনার, কাবুলিওয়ালার দেশে আবার কায়েম হতে চলেছে তালিবানি শাসন
ফাইল চিত্র
Published on

আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল প্রায় ২০ বছর আগে। এবার মার্কিন ফৌজ সরতে শুরু করেছে। দু’দশক আগে তালিবানদের নির্মূল করার নামে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু হয়েছিল। আর সেই তালিবানরা নতুন করে একের পর এক প্রদেশ দখল করে নিচ্ছে। বাগরামে মার্কিন ও ন্যাটো সেনাদের মূল ঘাঁটি থেকে সেনা সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এখন মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুধু সময়ের অপেক্ষা। এপ্রিলেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন, আফগানিস্তানে ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ তিনি আর চালাবেন না। আগস্টেই মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাগরামের মেকানিক মালেক মীরের প্রশ্ন, ‘তালিবানদের বোমাবর্ষণ করে ওরা শুরু করেছিল, যখন তারা সরে যাচ্ছে তখন তালিবানরা এতই শক্তিশালী যে যেকোনো দিন ওরা ক্ষমতা দখল করে নেবে। তাহলে এই ধ্বংস, মৃত্যু, দুর্দশা ওরা ডেকে নিয়ে এল কেন?’

লক্ষণীয় ভাবে আফগান সরকারি সেনা, পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের বিপুল অংশ তালিবানদের দিকে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মার্কিন সেনাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এভাবে শিবির পরিবর্তনের কারণ, মাসের পর মাস তাঁরা বেতনও পাননি। তাঁদের কাছে থাকা অস্ত্র, মর্টার, ভারী মেশিনগান তালিবানদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।

বাদাখশাহ, ইমাম শাহির মতো শহর দখল করে মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সীমান্ত এলাকায় তালিবানরা নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে। কান্দাহারও তাদের দখলে চলে গেছে। মার্কিন বিমানবাহিনীর সাহায্য না পেলে সরকারি সেনারা দ্রুত পরাস্ত হবে বলে অনেক পর্যবেক্ষকই মনে করছেন।

তালিবানরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, মার্কিনিরা দেশ ছেড়ে চলে যাবে মানে আমেরিকা পরাস্ত হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আগামী মাস ছয়েকের মধ্যে কাবুল দখল হয়ে যাবে। তালিবানদের এই শক্তিবৃদ্ধির পিছনে মার্কিন নীতিকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন দাবি করেছিলেন, আফগান সরকার তালিবানদের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। তিনি আফগান রাষ্ট্রপতি আসরাফ গনিকে জানিয়েছেন যে, যা করার এখন থেকে আফগান সরকারকেই করতে হবে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in