তুরস্কে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দেশের প্রায় ৬৪.১ মিলিয়ন মানুষ এই ভোটে অংশগ্রহণ করবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
রবিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে এবং ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের ভোটে প্রায় ৪৯ লক্ষ ভোটদাতা প্রথমবারের জন্য ভোট দেবেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গত ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির (AKP) প্রার্থী রাষ্ট্রপতি তায়িপ এরদোগান এবং প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (CHP) প্রার্থী কেমাল কিলিসিডারোগলু। তিনি ছয় বিরোধী দলের জোটের প্রার্থী। যে জোটে বামেরা ছাড়াও আছে ফিউচার পার্টি, ডেমোক্র্যাট পার্টি, ইসলামিস্ট ফেলিসিটি এবং গুড পার্টি।
তুরস্কের নির্বাচনী প্রচারে মূলত উঠে এসেছে আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি এবং গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের সময় এরদোগানের ব্যর্থতার কথা। দেশের শেষ জনমত সমীক্ষার ফলাফলে বিরোধী প্রার্থী কেমাল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী এরদোগানের চেয়ে ৩ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন।
নির্বাচনী প্রচারে এরদোগানের পক্ষ থেকে বারবার তুরস্কে পশ্চিমি দেশের হস্তক্ষেপের কথা তুলে আনা হয়েছে। তাঁর মতে পশ্চিমি দেশগুলোর পক্ষ থেকে চক্রান্ত করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এরদোগানের প্রধান বিরোধী কেমাল দেশকে আরও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চালাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে ২৪টি রাজনৈতিক দল এবং ১৫১ জন নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে, এবার তুরস্কে অধিকাংশ ভোটারই পরিবর্তন চাইছেন।
ভোটে জয়ের জন্য যে কোনো প্রার্থীকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। কোনো প্রার্থী যদি ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট না পায় সেক্ষেত্রে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রান-অফ ভোট অনুষ্ঠিত হবে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত দুই প্রার্থীর মধ্যে।
এই নির্বাচনে তিনটি বড় জোট তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে মোট ৬০০টি আসনের জন্য লড়াই করছে। যার মধ্যে আছে সিএইচপি-নেতৃত্বাধীন নেশন অ্যালায়েন্স, একেপি-নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) নেতৃত্বাধীন লেবার অ্যান্ড ফ্রিডম অ্যালায়েন্স। ২০১৮ সালের গত সংসদ নির্বাচনে এই জোটের দলগুলো প্রায় সবকটি আসনেই জয়ী হয়েছিল।
তুরস্কের বামপন্থী দলগুলো দুই জোটের অধীনে সংসদ নির্বাচনে লড়ছে। ইউনিয়ন অফ সোশ্যালিস্ট ফোর্সেস (এসজিবি)-এর মধ্যে আছে তুরস্ক কমিউনিস্ট পার্টি (টিকেপি) এবং বাম দল (এসওএল) সহ আরও দুই রাজনৈতিক দল। জনগণের জীবন-জীবিকার ইস্যুতে এই নির্বাচনে লড়াই করে এই দলগুলো প্রথমবারের মতো সংসদে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
দ্বিতীয় বাম জোট হিসেবে লড়াই করছে লেবার অ্যান্ড ফ্রিডম অ্যালায়েন্স। যে জোটের মধ্যে আছে এইচডিপি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি অফ তুরস্ক (টিআইপি)। যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনে তুরস্ক পার্লামেন্টে তৃতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী ছিল এবং যেখানে HDP ৫৬ আসন এবং টিআইপি ৪ আসনে জিতেছিল।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন