রবিবারের ভোট গ্রহণের পরেই তুরস্কে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। যদিও নিয়মমাফিক কোনো প্রার্থীই এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। ফলে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই রান-অফ নির্বাচনে যেতে হবে তুরস্ককে। যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে। আগামী ২৮ মে এই নির্বাচন হবার সম্ভাবনা।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাডোলুর সূত্র অনুসারে এখনও পর্যন্ত এরদোগান পেয়েছেন ৪৯.২৪ শতাংশ ভোট এবং তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিসিডারোগলু পেয়েছেন ৪৫.০৬ শতাংশ ভোট। যদিও তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল (YSK)-এর সঙ্গে এই পরিসংখ্যানের ফারাক আছে। নির্বাচনী ফলাফল প্রসঙ্গে একাধিক তথ্য সামনে আসছে।
সোমবার সকালে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এরদোগান জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি ৫০ শতাংশ ভোট পাবার মাপকাঠি অতিক্রম করবেন। কারণ এখনও অনেক ভোট গণনা বাকি। যদিও পাশপাশি তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে রান অফ নির্বাচনে যেতেও তাঁর আপত্তি নেই। যদিও তাঁর অভিযোগ, বাইরের শক্তি দেশের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিসিডারোগলু জানিয়েছেন, রান অফে যেতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। তিনি আরও বলেন, লাগাতার মিথ্যা প্রচার, আক্রমণের পরেও নির্ধারিত ৫০ শতাংশ ভোট পাবার মাপকাঠি অতিক্রম করতে পারেননি এরদোগান।
তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৯১ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। কিন্তু বিদেশ থেকে তুরস্কের অধিবাসীদের দেওয়া ভোট গণনায় সময় বেশি লাগছে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে একেপি পার্টির প্রার্থী এরদোগান এখনও পর্যন্ত পেয়েছেন ৪৯.৪২ শতাংশ ভোট এবং সিএইচপি দলের প্রার্থী কিলিসিডারোগলু পেয়েছেন ৪৪.৯৫ শতাংশ ভোট। এটিএ জোটের প্রার্থী সিনান ওগান পেয়েছেন ৫.২০ শতাংশ ভোট।
এই প্রসঙ্গে সিনান ওগান জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন যে বিদেশে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে এবং ভোট গণনাও ঠিকভাবে করা হচ্ছে না।
উল্লেখযোগ্যভাবে এই নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন আটা জোটের প্রার্থী সিনান ওগান। যিনি তাঁর উগ্র দক্ষিণপন্থী রাজনীতির জন্য সুপরিচিত।
অন্যদিকে এদিনই ভোট গণনা চলাকালীন ধস নেমেছে তুরস্কের শেয়ার বাজারে তুরস্কের শেয়ার বাজারের সূচক বিস্ট-১০০-এ ৬ শতাংশ পতন হ্যেহচে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের শেয়ারে পতন হয়েছে ৯.১০ শতাংশ।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন