এপস্টিনকে ঘিরে বিতর্কিত চিঠি! নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স-এর বিরুদ্ধে ১৫০০ কোটি ডলারের মামলা ট্রাম্পের

People's Reporter: ট্রাম্প লেখেন, “অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স-এর বিরুদ্ধে ১৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা দায়ের করেছি।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পছবি - সংগৃহীত
Published on

আমেরিকার কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনকে ঘিরে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনের জেরে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স-এর বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা দায়ের করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দাবি করেছেন, কয়েক দশক ধরে ওই সংবাদপত্র তাঁকে নিয়ে মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে আসছে। মামলা প্রমাণিত হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি) অর্থ জরিমানা দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

সোমবার নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স-এর বিরুদ্ধে ১৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা দায়ের করেছি। এটি আমেরিকার সবচেয়ে বাজে সংবাদপত্র, যা ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে ডেমোক্র্যাটদের মুখপত্রে।” তাঁর পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই ফ্লোরিডায় মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ের হয়।

বিতর্কের সূত্রপাত এপস্টিনকে ঘিরে এক পুরোনো চিঠিকে কেন্দ্র করে। দাবি করা হচ্ছে, ২০০৩ সালে এপস্টিনের ৫০তম জন্মদিনে একদা তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধু ট্রাম্প তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যেখানে নারীদেহের অবয়ব এঁকে লেখা ছিল, “শুভ জন্মদিন। প্রতিটি দিন যেন রহস্যে ঘেরা অথচ দারুণ হয়।” নিচে নাকি ট্রাম্পের স্বাক্ষরও ছিল। প্রথমে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করে, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। ট্রাম্প ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করেছেন।

তবে বিতর্কিত চিঠি প্রকাশ্যে আসার আগেই ট্রাম্প গত জুলাই মাসে দাবি করেছিলেন, তিনি জীবনে কখনও ছবি আঁকেননি, মেয়েদের ছবি আঁকা তো দূরের কথা। এমনকি, এপস্টিনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার অনেক আগেই তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল বলেও তাঁর বক্তব্য।

উল্লেখ্য, এপস্টিন কেলেঙ্কারিকে ঘিরে আগে থেকেই বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। ভার্জিনিয়া জিফরে নামে এক নারী এপস্টিনের সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার নথিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম ওঠে এসেছে—যার মধ্যে বিল ক্লিন্টন, ট্রাম্প, স্টিফেন হকিং থেকে মাইকেল জ্যাকসন পর্যন্ত অনেকে রয়েছেন বলে গুজব রটেছে। কংগ্রেসের ওভারসাইট কমিটিতেও এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। ডেমোক্র্যাট সদস্যরা প্রকাশ্যে দাবি তুলেছেন—এপস্টিন ফাইল ও সংশ্লিষ্ট চিঠিপত্র প্রকাশ্যে আনা হোক।

ট্রাম্পের মামলা সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in