জুন্টার অত্যাচারের বিরোধিতায় মায়ানমারের সঙ্গে সমস্ত ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

মায়ানমারে জুন্টার অত্যাচার থেকে বাঁচতে দলে দলে মানুষ থাইল্যান্ডের পথে
মায়ানমারে জুন্টার অত্যাচার থেকে বাঁচতে দলে দলে মানুষ থাইল্যান্ডের পথেছবি ট্যুইটার থেকে সংগৃহীত
Published on

মায়ানমারে জুন্টা বাহিনীর বাড়তে থাকা অত্যাচারের মাত্রা দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে সেনা অভ্যুত্থান জারি করে নিরস্ত্র গণতন্ত্রকামী মানুষদের উপর যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তার বিরোধিতা করে গর্জে উঠেছে আমেরিকা। সেদেশে যতদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আবহ ফিরে না আসছে, ততদিন সবরকম বাণিজ্যচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন সরকার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ক্যাথারিন তাই এই মর্মে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষকে সমর্থন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা যেভাবে সেখানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে, তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বাইডেন প্রশাসনের। সেখানে যেভাবে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে, তা তীব্র নিন্দনীয়। যেভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী, পড়ুয়া, শ্রমিক, মিডিয়া এবং শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করছে।

তাই-এর অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে মায়ানমারের সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করতে চলেছে। ২০১৩ সালের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অনুসারে দুই দেশের মধ্যে এই ব্যবসা চলছিল, যা আপাতত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পেসাকি জানিয়েছেন, বিভিন্ন বার্মিজ ব্যবসাকে কালো তালিকাভুক্ত করে দিয়েছে আমেরিকা। সেদেশে অবিলম্বে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরে না আসা পর্যন্ত সবরকম দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা থেকে মায়ানমারকে বিচ্ছিন্ন রাখা হবে।

শনিবার মায়ানমারে সেনাবাহিনীর গুলিতে ১০৭ জন আন্দোলনকারী নিহত হন। রিপোর্ট বলছে, নিহতের মধ্যে অন্তত ৭ জন নাবালক ও শিশু রয়েছে। আমেরিকার পাশাপাশি এই ঘটনার সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলিও। তারা বলেছে, 'এ ধরনের হিংসাত্মক ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না।'

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in