

শ্রীলঙ্কায় নতুন রাষ্ট্রপতি আসনে বসেই চরম পদক্ষেপ নিলেন রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে। তাঁর নির্দেশেই বিক্ষোভকারীদের ঘাঁটি ভেঙে দিল সেনাবাহিনী। তাঁদের লক্ষ্য কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা।
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিচার্জ করে সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা সরকারি জায়গা দখল করে পরিস্থিতি খারাপ করছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন ও প্রায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বিক্রমাসিঙ্ঘে আসলে রাজাপক্ষেরই লোক। তাই শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থার উন্নতি তাঁর আমলেও হবে না। তার প্রতিবাদ করাতেই সেনাবাহিনী নামিয়ে তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়। শুক্রবার শতাধিক সেনা তাঁদেরকে ঘিরে ফেলে এই অত্যাচার চালানো হয়।
শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীদের নেতা মেলানি গুনাথিলাকে (Melani Gunathilake) আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁদের বক্তব্য খুবই পরিষ্কার। রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁরা অবরোধ এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাঁরা রনিলকে কখনই চাননি।
উল্লেখ্য, হুমকির সুরে বিক্ষভকারীরা আগেই জানিয়েছিলেন, রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe) যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, তাহলে আবার আন্দোলনে নামা হবে। এমনকি, নাগরিক অধিকার মঞ্চ থেকে ট্রেড ইউনিয়নগুলি বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধ' ঘোষণা করেছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই রাজাপক্ষে পরিবারকে রক্ষার চেষ্টা করে গিয়েছে বিক্রমাসিংহে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন