

হোয়াইট হাউসের অদূরে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ-এ তিনি লেখন, "যে পশু ন্যাশনাল গার্ড কর্মীদের গুলি করেছে, তাকে এর চড়া মূল্য চোকাতে হবে। ঈশ্বর ন্যাশনাল গার্ড-সহ আমাদের সকল সামরিক ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীর মঙ্গল করুন।" এই মুহূর্তে ওয়াশিংটনে নেই ট্রাম্প। থ্যাংকসগিভিং উদযাপনের জন্য ফ্লরিডায় রয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবক আফগানিস্তানের নাগরিক। নাম রহমানুল্লা লাকানওয়াল (২৯)। অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর আরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি দফতর নিশ্চিত যে, সন্দেহভাজন যুবক বিদেশি। তিনি আফগানিস্তান থেকে এসেছিলেন, যে দেশটি বিশ্বে নরককুণ্ড হিসেবে পরিচিত।“ তাঁর মতে, এই ঘটনা শুধু সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপই নয়, বরং মানবতাবিরোধী অপরাধ।
এই ঘটনার জন্য পরোক্ষে পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দায়ী করে ট্রাম্প আরও বলেন, “২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বাইডেন প্রশাসন বিমানে করে ওই ব্যক্তিকে এ দেশে ঢুকিয়েছিল। এখন থেকে আমরা আফগানিস্তান থেকে আমেরিকায় আসা সমস্ত ভিনগ্রহীকে আবার পরীক্ষা করে দেখব।“
জানা গেছে, ২০২১ সালে অপারেশন ‘অ্যালাইস ওয়েলকাম’-এর সময় আমেরিকা আসেন অভিযুক্ত যুবক। থাকছিলেন ওয়াশিংটনের বেলিংহামে। মার্কিন সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তবে তার গুলি চালানোর কারণ এখনও জানা যায়নি।
এই ঘটনার পরই সমস্ত আফগান নাগরিকের অভিবাসনের আবেদনের প্রক্রিয়াকরণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকা এবং আমেরিকার জনগণের সুরক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিভাগ।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরে হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র দুই ব্লক দূরে এলোপাথাড়ি গুলি চলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের দিকে এগিয়ে এসে আচমকা বন্দুক বার করে গুলি চালাতে শুরু করেন অভিযুক্ত যুবক। পাল্টা গুলি চালান গার্ডরা। এই ঘটনায় দুই গার্ড গুরুতর জখম হন। পাল্টা গুলিতে যখন হন অভিযুক্তও। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাদের।
এই ঘটনার পর ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। আরও ৫০০ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন