
ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত আমেরিকার টেক্সাস (Texas Floods)। গুয়াদালুপে নদীতে হড়পা বানের জেরে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৮ জন শিশু-সহ ৮২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এখনও নিখোঁজ অন্তত ৪১। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে। দফায় দফায় বৃষ্টিপাতের ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। এখনও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি রয়েছে রাজ্যজুড়ে।
ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের আর্জি মেনে ‘বিপর্যয় পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজে নেমেছে আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী (ইউএস কোস্ট গার্ড)। আকাশপথেও চলছে তল্লাশি অভিযান।
অন্যদিকে, এই বিপর্যয়কে ১০০ বছরের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী শুক্রবার বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন ট্রাম্প বলে জানা যাচ্ছে।
গত শুক্রবার টেক্সাসের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এক নাগাড়ে ভারী বর্ষণ হয়েছে। সেন্ট্রাল কের কাউন্টিতে এক রাতেই ১০ ইঞ্চি (২৫ সেন্টিমিটার) বৃষ্টিপাত হয়। টেক্সাসের গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ৪৫ মিনিটের মধ্যে গুয়াদালুপে নদীর জল ২৬ ফুট বেড়ে যায়। যার জেরে বন্য়া ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছে। নদীতে হড়পা বানের ফলে জলের তোড়ে ভেসে যান অনেকেই। শনিবার ২৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। বেলা বাড়তেই লাফিয়ে বাড়তে থেকে মৃতের সংখ্যা।
অন্যদিকে, সপ্তাহান্তে সামার ক্যাম্পে যোগ দিতে নদী সংলগ্ন এলাকায় গিয়েছিলেন একটি স্কুলের ৭৫০ জন ছাত্রী। তাদের মধ্যে প্রায় ২৭ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গোটা রাজ্য। ৪১ জন এখনও নিখোঁজ। টেক্সাসের জননিরাপত্তা প্রধান ফ্রিম্যান মার্টিন সতর্ক করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টেক্সাসের কান্ট্রির কের কাউন্টি। সেখানে ২৮ জন শিশু সহ কমপক্ষে ৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই এলাকায় একজন কাউন্সেলর সহ ১০ জন মেয়ে নিখোঁজ। অন্যদিকে, ট্র্যাভিস কাউন্টিতে ছ'জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বার্নেট কাউন্টিতে তিনজনের মৃত্যু এবং পাঁচজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কেন্ডাল এবং উইলিয়ামসন কাউন্টিতে দু'জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। টম গ্রিন কাউন্টিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন