

২০২০ সালে মার্কিন পড়ুয়াদের মধ্যে দৈনিক মারিজুয়ানার ব্যবহার রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, গত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক জাতীয় মনিটরিং দ্য ফিউচার পানেলের সমীক্ষায় একথা জানা গেছে।
১৯ থেকে ২২ বছরের পূর্ণ সময়ের কলেজ ছাত্রদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে ৩০ দিনের মধ্যে ২০ বা তার বেশি দিন মারিজুয়ানার ব্যবহার বেড়েছে ৭.৯ শতাংশ, পাঁচ বছরের মধ্যে এই বৃদ্ধির হার ৩.৩ শতাংশ।
১৯৮০ সালে থেকে এখনও পর্যন্তের হিসেব অনুযায়ী, গতবছর কলেজছাত্রদের মধ্যে মারিজুয়ানা ব্যবহারের বার্ষিক হার ছিল সর্বোচ্চ ৪৪ শতাংশ। কলেজছাত্র নয় এমন যুবাদের মধ্যে এই হার ছিল ৪৩ শতাংশ। সমীক্ষার ফল উল্লেখ করে জিনহুয়া সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে একই বয়সের কলেজ ছাত্র নয় এমন গোষ্ঠীতে মারিজুয়ানার ব্যবহার ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২০ সালে কমেছে।
আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কলেজ ছাত্রদের মধ্যে এলএসডি সহ হ্যলুসিনোজেন, সাইলোসাইবিন মাশরুম এবং অন্য সাইকোডেলিক দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ছে।
হ্যলুসিনোজেনের বার্ষিক ব্যবহার ২০১৯-এর তুলনায় ২০২০ তে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৬ শতাংশ, ১৯৮২ সালের পরে যা সর্বোচ্চ। একই বয়সে কলেজ না যাওয়া যুবাদের মধ্যে এর বৃদ্ধির হার ৯. 8 শতাংশ, দু দশকে সর্বোচ্চ।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি হল ২০২০ সালে পড়ুয়াদের মধ্যে মদ্যপান কমেছে। সম্ভবত কোভিডের কারণে। কলেজ ছাত্রদের মধ্যে মাসের ৩০ দিনই মাদকের ব্যবহার করেন, এমন সংখ্যা কমেছে ৫৬ শতাংশ।
তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সিগারেট খাওয়ার চল কমছে দীর্ঘদিন ধরেই। ২০২০ সালে ৩০ দিনের হিসেবে এই হার দাঁড়িয়েছে ৪.১ শতাংশে, যা সর্বকালীন কম এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ৩.৮ শতাংশ কম। কলেজ না যাওয়া তরুণদের মধ্যে ২০২০ সালে এই হার ১৩ শতাংশ, যা সর্বকালীন কম।
১৯৮০ থেকে প্রতি বছর এই সমীক্ষা চালানো হয় কলেজ ছাত্র এবং একই বয়সি কলেজ না যাওয়া যুবাদের মধ্যে। শাট ডাউনের ঠিক পরেপরেই ২০২০ সলের ৩০ মার্চ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়।
- with inputs from IANS
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন