আউং সান সু চি-র মুক্তির দাবীতে মায়ানমার জুড়ে শহরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল

সেনা শাসনের অবসান ও সু চি-র মুক্তির দাবীতে মায়ানমার জুড়ে বিক্ষোভ
সেনা শাসনের অবসান ও সু চি-র মুক্তির দাবীতে মায়ানমার জুড়ে বিক্ষোভছবি সৌজন্য - রিঙ্গো থুন ট্যুইটার হ্যান্ডেল
Published on

দেশে সেনা অভ‍্যুথান এবং নির্বাচিত প্রধান আউং সান সু চি-র গ্রেফতারির প্রতিবাদে গতকালের পর আজ রবিবারও পথে নামলো কয়েক হাজার মায়ানমারবাসী। দেশের সবথেকে বড় শহর ইয়াঙ্গনে আজকের মিছিলে প্রায় ১০ হাজার জনতা শামিল হয়েছিলেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেও হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের নেতৃত্বে Saffron Revolution-এর পর এই প্রথম দেশে এতো বড় বিক্ষোভ মিছিল হল বলে মনে করছেন মায়ানমারবাসী।

হাতে লাল রঙের বেলুন নিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের স্লোগান-প্রতিবাদে ইয়াঙ্গন শহরে রীতিমত উৎসবের চেহারা। তাঁদের বুকে লাগানো ছিল ন‍্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র‍্যাসি (এনএলডি) নেত্রী সু চি-র ছবি। তাঁদের স্লোগান ছিল - "আমরা সামরিক একনায়কতন্ত্র চাই না! আমরা গণতন্ত্র চাই!" সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক তিন আঙুলের সেলাম দিয়ে নানারকম অঙ্গভঙ্গি করছিলেন বিক্ষোভকারীরা।

গত সোমবার ভোররাতে এনএলডি নেত্রী সু চি সহ প্রথম সারির একাধিক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করে মায়ানমারের দখল নেয় সেনা বাহিনী। এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। গণতন্ত্র ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন স্বয়ং মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জনরোষ বাড়ছে দেখে গতকাল দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল মায়ানমারের নতুন সেনা সরকার।

সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে, রবিবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন মায়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ আধিকারিক টমাস অ্যান্ড্রুজ। তিনি জানান, "নাগরিক আন্দোলনকে পঙ্গু করার চেষ্টা করছেন জেনারেলরা - বাইরের বিশ্বকে অন্ধকারে রেখেছে - কার্যত সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে। মায়ানমারবাসীর এই বিপদের দিনে আমাদের সকলের উচিত তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।"

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in