ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে বামপন্থীরা। প্রথম রাউন্ডের ভোটে “সিটিজেন রেভলিউশন মুভমেন্ট” পার্টির বামপন্থী প্রার্থী আন্দ্রেজ আরাউজ ৩১.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছে বামপন্থী আদি জনগোষ্ঠীর দলের নেতা ইয়াকু পেরেজ। প্রাপ্ত ভোট ২০.০৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে আছে দক্ষিণপন্থী “সোশ্যাল খ্রিস্টান পার্টি”র নেতা গুয়েলার্মো লাসো। প্রাপ্ত ভোট ১৯.৯৭ শতাংশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য - ইকুয়েডরের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম রাউন্ডের ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০% ভোট পেলে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। অথবা যদি ৪০% ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে ১০% ভোটে এগিয়ে থাকে তবেই দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটপর্ব এড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভোট হতে চলেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বামপন্থী দল। বামপন্থী অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেজ আরাউজ এবং আদি জনগোষ্ঠীর বামপন্থী আইনজীবী ইয়াকু পেরেজের মধ্যেই ইকুয়েডরবাসীকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে আন্দ্রেজ আরাউজকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হবে দক্ষিণপন্থী ব্যাঙ্কার গুয়েলার্মো লাহোর সঙ্গে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জানায় - গননা যত এগোতে থাকে গুয়েলার্মোকে পিছনে ফেলে দেয় ইয়াকু পেরেজ। ইকুয়েডরে মাত্র ১০ শতাংশ আদি জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা হলেও পেরেজের প্রাপ্ত ভোট ২০ শতাংশের বেশি।
করোনা মহামারীর পর থেকেই লাতিন আমেরিকার এই দেশটি অর্থনৈতিক সংঙ্কটে ভুগছে। পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো সোশ্যালিস্টদের সাথে কিছুটা দূরত্ব তৈরি করে IMF এর সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন। প্রথাগতভাবে বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলা, কিউবা সহ লাতিন আমেরিকার অন্যান্য বামপন্থী নিয়ন্ত্রিত দেশের সাথে দূরত্ব তৈরি করে আমেরিকার দিকে ঝুঁকে পড়ে। যা ভালোভাবে নেয়নি ইকুয়েডরবাসী। একের পর এক আন্দোলন শুরু হয় ইকুয়েডর জুড়ে। জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকে লেনিন মরেনোর।
১১ এপ্রিল ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ড ভোটগ্রহন পর্ব হবে বলে জানিয়েছে সে দেশের নির্বাচন কমিশন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।