

বিশ্বের জনসংখ্যার এক দশমাংশ মানুষ গত বছর অপুষ্টিতে ভুগেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। মোট জনসংখ্যার ৭২০ মিলিয়ন থেকে ৮১১ মিলিয়ন মানুষই অপুষ্টির শিকার হয়েছেন। সংঘর্ষ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং করোনা মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক হু হু করে আকাশসীমা ছুঁয়েছে।
প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টির শিকার হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই রিপোর্টের নাম দেওয়া হয়েছে, 'দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২১'। সোমবার এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। মহামারী শুরু হওয়ার পর এটিই প্রথম বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট।
২০২০ সালে প্রবল ক্ষুধার শিকার হয়েছে বিশ্বের বহু সংখ্যক মানুষ। যা গত ৫ বছরে সর্বোচ্চ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু বছর লেগে যাবে বলে মনে করে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন ( FAO) , ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) ও ইউনিসেফ ( UNICEF)।
এই বছরের রিপোর্টে এই সংগঠনগুলোর তরফে জানানো হয়েছে, মহামারীর কারণে খাদ্য ব্যবস্থার চরম সংকট আরও প্রকটভাবে ধরা পড়েছে। যার ফলে বিশ্বের মানুষের জীবনধারা ও জীবনযাত্রা ব্যবকভাবে ব্যহত হচ্ছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এশিয়ায় গত বছর অপুষ্টির শিকার হয়েছে ৪১৮ মিলিয়ন মানুষ। এবং আফ্রিকায় অপুষ্টির শিকার গত বছরে ২৮২ মিলিয়ন মানুষ। বিশ্বে ২.৪ মিলিয়ন মানুষ ২০২০ সালে পর্যাপ্ত খাবার পর্যন্ত পায়নি বলেও রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে।
- with IANS inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন