

২০২৪ সালে নোবেল পুরস্কার পেল জাপানের নিহন হিদানকিও। ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পৃথিবীকে পরমাণু বোমা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অসামান্য ভূমিকা রেখেছে এই কমিটি।
১৯৫৬ সালে তৈরি হয় নিহন হিদানকিও সংস্থাটি। হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো ঘটনা যাতে বিশ্বের আর কোথাও না ঘটে তার লক্ষ্যে অবিরাম কাজ চালাচ্ছে এই সংস্থাটি। এমনকি পরমাণু বোমা পৃথিবীর জন্য কতটা ক্ষতিকারক, তা নিয়ে প্রচার চালায় এই জাপানি প্রতিষ্ঠানটি।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তেরা কী ভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। সমাজ মাধ্যমে কমিটি জানিয়েছে, “তাঁরা (ক্ষতিগ্রস্তেরা) আমাদের অবর্ণনীয়কে বর্ণনা করতে শিখিয়েছেন। যা কল্পনাও করা যায় না, সেটিকে ভাবতে শিখিয়েছেন। পরমাণু অস্ত্রের কারণে কত যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, সেটাও অনুধাবন করতে শিখিয়েছেন।“
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষের দিকে ৬ আগষ্ট হঠাৎ হিরোশিমায় আছড়ে পড়েছিল পরমাণু বোমা ‘লিটিল বয়’। তার দিন দিন পর ৯ আগষ্ট নাগাসাকিতে আছড়ে পরে পরমাণু বোমা ‘ফ্যাট ম্যান’। যার জেরে রাতারাতি ধ্বংস হয়ে যায় জাপানের দুটি শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকি। তারপর গত ৮০ বছরে পৃথিবীতে অনেক যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু তাতে পরমাণু বোমা ব্যবহারের সাহস দেখায় নি কেউ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ২৮৬ টি আবেদন জমা পড়েছিল। যার মধ্যে ১৯৭ টি ব্যক্তিগত এবং বাকি ৮৯ টি প্রতিষ্ঠানের জন্য। সকলের মধ্যে নিহন হিদানকিওকে বেছে নিয়েছে নোবেল কমিটি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন