
Gen-Z বিক্ষোভের জেরে অবশেষে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মেনে নিলেন গণবিদ্রোহের দাবি। সেনাবাহিনীর তরফেও পদত্যাগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল তাঁকে। জানা গেছে, এদিন নেপালের সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে, তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর সেনাদের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেন ওলি।
ওলির বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সূত্রের খবর, দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করছেন ওলি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁর গন্তব্য হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাই। অন্যদিকে, বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তাঁর মন্ত্রিসভার সদ্যদেরাও। মন্ত্রীদের অনেকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দেশ ছাড়ার জন্য নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারেন ওলি। ইতিমধ্যেই সেই বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত বিমান। সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে ওলি এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের নিরাপদে অন্যত্র সরানোর জন্য। ত্রিভুবন বন্দরে মোতায়েন করা হয়েছে ৩০০ সেনা।
৪ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (পূর্বতন টুইটার) সহ ২৬টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যার প্রতিবাদে সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুর নিউ বাণেশ্বরে বিক্ষোভ দেখান জেন-জি প্রজন্ম। অর্থাৎ মূলত ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে যুবক-যুবতীরা এই বিক্ষোভে সামিল হন। সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্রও।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালায়। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জন বিক্ষোভকারীর। বিক্ষোভের প্রকোপ বাড়ায় সোমবার রাতেই সমাজ মাধ্যমের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজে নি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলে ফের শুরু হয় বিক্ষোভ।
এর মধ্যেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওলি। এদিন সকালেই তিনি ঘোষণা করেন, সন্ধ্যায় সর্বদল বৈঠক করবেন। পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সমস্যার সমাধানের পথ কী, তা নিয়েই আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। ফলে চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হন ওলি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন