দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার ৭৭ তম বার্ষিকী উদযাপন করলো জাপান। মঙ্গলবার ৯ আগস্ট জাপান জুড়ে ৭৭ বছর আগের সেই ভয়ংকর ঘটনাকে স্মরণ করা হয়।
কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে এবছরের বার্ষিক অনুষ্ঠানে আরও বেশি সাধারণ মানুষকে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়। সংবাদ সংস্থা জিংহুয়া একথা জানিয়েছে।
৮০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ আধিকারিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বোমা হামলার ঘটনায় বেঁচে থাকা এবং নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা এদিন সকাল থেকে প্রার্থনা করতে জড়ো হন।
সকাল ১১.০২ মিনিটে, এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। কারণ ৯ আগস্ট, ১৯৪৫ এই সময়েই একটি আমেরিকান বি-২৯ বোমারু বিমান থেকে প্লুটোনিয়াম-কোর পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল। যার ডাকনাম ফ্যাট ম্যান ছিল। ওই বছরের শেষ নাগাদ নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
বোমা হামলার এক বছর পর জুলাইয়ের শেষের দিকে জানানো হয়, নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়া ৩,১৬০ জন মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত তালিকা অনুসারে ১,৯২,৩১০ জন পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার হয়েছেন।
৬ আগস্ট হিরোশিমায় এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে বোমা নিক্ষেপের পর জাপান আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
অনুষ্ঠানে, নাগাসাকির মেয়র তাউ তোমিহিসা জানান, অপ্রসারণ চুক্তির কারণে পারমাণবিক রাষ্ট্রগুলি একটি বিশেষ দায়িত্ব পালন করে এবং পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে চলা উচিৎ।
নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, জাপান পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন