নতুন বছরে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল মায়ানমারের সামরিক সরকার

যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তারা মূলত চুনোপুঁটি। আসলে গণতন্ত্রকামীদের বন্দি করার উদ্দেশেই কারাগারে জায়গা বানাচ্ছে জুন্টা।
নতুন বছরে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল মায়ানমারের সামরিক সরকার
ছবি- রয়টার্স
Published on

ইয়ঙ্গন, ১৮ এপ্রিল: সেনাশাসনে গণতন্ত্রের দমবন্ধ করা অবস্থা মায়ানমারে। সামরিক বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০ মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে বৌদ্ধ নববর্ষ উপলক্ষে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল জুন্টা। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, শনিবার থেকেই মায়ানমারের বেশ কয়েকটি কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইয়াঙ্গনের ইনসেইন জেল থেকে অন্তত ৮০০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়া নতুন কিছু নয়। প্রতিবছর থিংগ্যান বা বৌদ্ধ নববর্ষ উপলক্ষে কিছু সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয় মায়ানমারে। কিন্তু সেনাশাসনে যে তুমুল বিক্ষোভের মাঝেও সেই প্রথা পালন করা নিয়ে সন্দেহ ছিল। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তারা মূলত চুনোপুঁটি। আসলে গণতন্ত্রকামীদের বন্দি করার উদ্দেশেই কারাগারে জায়গা বানাচ্ছে জুন্টা।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মায়ানমারের রাশ নিজের হাতে নিয়ে নেয় টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনা। কাউন্সিলর আং সান সু কি-সহ আটক করা হয় নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ পদাধিকারীদের। এর পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়ে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। পাল্টা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এপর্যন্ত ফৌজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০জন গণতন্ত্রকামী।

এদিকে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে একদিনে শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যার পর থেকেই চরমে পৌঁছেছে সংঘাত। তারপর থেকেই মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলি সেনার বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জুন্টার আচরণের বিরুদ্ধে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in