টাইম পত্রিকার প্রভাবশালীদের তালিকায় মোদি, মমতা, জিনপিং, বাইডেন - তালিকায় তালিবান নেতা বরাদরও

বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে যাঁরা, এরকম ২০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন জো বাইডেন, শি জিনপিং, কমলা হ্যারিস, ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনকি তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গনি বরাদরও।
টাইম পত্রিকার প্রভাবশালীদের তালিকায় মোদি, মমতা, জিনপিং, বাইডেন - তালিকায় তালিবান নেতা বরাদরও
ফাইল চিত্র
Published on

বিশ্বে প্রভাবশালী কারা? সেই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একই সারিতে জায়গা করে নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টাইম পত্রিকা মোট ১০০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে যাঁরা, এরকম ২০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন জো বাইডেন, শি জিনপিং, কমলা হ্যারিস, ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনকি তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গনি বরাদরও। ‘লিডারস’ বিভাগে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘পায়োনিয়ারস’ বিভাগের ২০ জনের মধ্যে আছেন ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘পরনে সাদা শাড়ি ও পায়ে হাওয়াই চটি তাঁর নিজস্বতা। ... বিজেপির অর্থ ও লোকবলকে পরাস্ত করলেন সেই মমতা। ফের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখলেন।'

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে যে নরেন্দ্র মোদী ব্যর্থ, তাঁকে নিয়ে লেখায় সেই কথাই প্রতিফলিত হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘কোভিড মোকাবিলায় তাঁর ব্যর্থতার জন্যই ভারতে এতজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাধীনতার পরে ৭৪ বছরে জওহরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর পরে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী। অনেকেই ভেবেছিলেন সমাজতান্ত্রিক অতীত থেকে দেশকে তিনি ভবিষ্যৎ ধনতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাবেন। কিন্তু তিনি যে পরিবর্তন করেছেন, তা ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে ভারতকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের দিকে পাঠিয়েছে।'

তাঁর সম্পর্কে আরও নেতিবাচক কথা বলা হয়েছে, মোদি সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। মোদি সরকার সাংবাদিকদেরও জেলে ভরেছেন, যাঁরা এই বিষয়গুলিকে সামনে এনেছেন। দু’টি আন্তর্জাতিক ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ সমীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতে গণতন্ত্র নষ্ট হয়ে ‘নির্বাচনী স্বৈরাচার’-এর দিকে এগোচ্ছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in