

ইরান জুড়ে শুরু হয়েছে ছাত্রবিক্ষোভ। সে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বলেছে জানা গেছে। রাজধানী তেহরান এবং মধ্যবর্তী শহর ইস্পাহান থেকেও বিক্ষোভের খবর এসেছে। ছাত্রদের বিক্ষোভের পাশাপাশি বিক্ষোভে নেমেছে স্থানীয় ছোটো ব্যবসায়ীরাও। জীবনধারণের মানের ক্রমোবনমনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ চলছে বিভিন্ন জায়গায়।
মঙ্গলবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সাধারণ মানুষের প্রতি ক্যাম্পাসের দিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। ছাত্ররা জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে আছে এবং তাঁদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেওয়া হচ্ছে না।
দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানী জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় তেহরানের মেল্লাত স্ট্রিটে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী সরাসরি গুলি চালায়।
ইরানের ছাত্রবিক্ষোভের খবর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর সোমবার রাত্তিরে তেহরানের বাজার, বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শহরাঞ্চলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ থেকে শ্লোগান ওঠে ‘স্বৈরশাসকের পতন হোক’। সাধারণ মানুষ ছাত্র বিক্ষোভে যোগ দেবে এই আশঙ্কা থেকে ছাত্রদের হোস্টেলের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তাবাহিনী হোস্টেল ঘিরে ফেলে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ রেসিস্ট্যান্স অফ ইরানের সূত্র অনুসারে ছাত্রদের বিক্ষোভের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভ দেখান ট্রাক চালকরাও। হামেদান, আহভাজ, যানজান, কারাজ, কেরমান, মারলিক, দারগাহান-ই কেশম প্রভৃতি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র অনুসারে, বিক্ষোভ দমন করতে দ্রুত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হলেও বিক্ষোভ আটকানো যায়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন