বাংলাদেশে হিংসার ঘটনায় সরব মাশরাফি, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরীরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশে হিংসার ঘটনায় সরব মাশরাফি, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরীরা
ফাইল চিত্র
Published on

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলতে পারবে কিনা, তা এখন বিভিন্ন সমীকরণের ওপর দাঁড়িয়ে। কিন্তু বাংলাদেশে গত সপ্তাহে দুর্গাপুজোর সময় ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলা, হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদে এবার সরব হলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তাজা।

দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরচিত হামলায় গোটা বিশ্বের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। যদিও সে-দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। রবিবারও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। রংপুরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে পিরগঞ্জের জেলেপল্লিতে।

স্ক্রিনশট

প্রতিবাদে সরব হয়ে সোমবার সন্ধ্যেবেলা সোশ্যাল মিডিয়ায় মাশরাফি লিখেছেন, 'কাল দুইটা হার দেখেছি, একটা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের, যেটায় কষ্ট পেয়েছি। আর একটি পুরো বাংলাদেশের, যা হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার করেছে। এ লাল সবুজ তো আমরা চাইনি। কত কত স্বপ্ন, কত কষ্টার্জিত জীবন যুদ্ধ এক নিমেষেই শেষ। আল্লাহ, আপনি আমাদের হেদায়েত দিন।'

স্ক্রিনশট

অন্যদিকে, নিজের দেশে ধর্মীয় হানাহানি, রক্তারক্তির দৃশ্য দেখে অবাক দুই বাংলায় দাপিয়ে কাজ করা অভিনেত্রী জয়া আহসান। পদ্মাপারের কন্যা বরাবরই স্পষ্টবক্তা হিসাবেই পরিচিত। এবারও যখন বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো নিয়ে বাংলাদেশে অশান্তির থামছেই না, তখনও সরব হলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রংপুরের বিভীষিকার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, 'এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না। এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না। এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না। এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না।'

স্ক্রিনশট

বাংলাদেশের আর এক বিশিষ্ট অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লেখেন - 'রংপুর নয়,পুড়ছে স্বদেশ, পুড়ছে মাতৃভূমি….. আজ পুড়ছে অসহায় কেউ, কাল পুড়বে তুমি।' বাংলাদেশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করেছে। পরমব্রত থেকে মিথিলা, জয়া এহসানের মত দুই বাংলার শিল্পীরাও সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in