ইস্তফা দিলেন ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। মন্ত্রীসভা রক্ষা করার সবরকম চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিতে বাধ্য হন মারিও দ্রাঘি। এদিন সকালে প্রথামাথিক নিজের ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রপতি সার্গিও মাত্তারেল্লার হাতে তুলে দিয়েছেন দ্রাঘি এবং তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
সিলভিও বারলুসকোনির ফোরজা ইতালিয়া, মাত্তেও সালভিনির অ্যান্টি ইমিগ্র্যান্ট লীগ এবং পপুলিস্ট ফাইভ স্টার মুভমেন্ট আস্থা ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবার পর তিনি ইস্তফা দিতে বাধ্য হন।
মূলত পপুলিস্ট ফাইভ স্টার মুভমেন্ট (M5S)-এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই দ্রাঘির পতন বলে মনে করছে ইতালিয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গত সপ্তাহের আস্থা ভোট থেকে সরে দাঁড়ায় এম৫এস। সেইসময় সরকার পড়ে যেতে পারে বলে দ্রাঘি এম৫এস-কে সতর্ক করলেও তাতে কাজ হয়নি।
দ্রাঘি সরকারের পতনের ফলে ইতালিতে নির্বাচন এগিয়ে আসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অথবা ২ অক্টোবর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সূত্র অনুসারে, পরবর্তী নির্বাচন এবং নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দ্রাঘির হাতেই তদারকি সরকারের দায়িত্ব তুলে দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি মাত্তারেল্লা।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুসারে, নির্বাচন এগিয়ে এলে সেক্ষেত্রে অতি দক্ষিণপন্থী ব্রাদার্স অফ ইতালি-র নেতৃত্বাধীন লীগ এবং ফোরজা ইতালিয়া জোট ক্ষমতায় আসতে পারে।
প্রাক্তন ইউরোপীয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক প্রধান, ৭৪ বছর বয়স্ক মারিও দ্রাঘি ২০২১ সালে আচমকাই ইতালির প্রধানমন্ত্রী হন। অন্যদিকে দ্রাঘি সরকারকে জোর করে ফেলে দেবার প্রতিবাদে ফোরজা ইতালিয়ার দুই মন্ত্রী রেনাটো ব্রুনেট্টা এবং মারিয়াস্টেল্লা গেলমিনি দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
ইতালির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দ্রাঘি সরকারের পতন প্রসঙ্গে সেন্টার লেফট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান এনরিকো লেট্টা জানিয়েছেন, দ্রাঘি সরকারের পতনের অর্থ ইতালি এবং ইতালির মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। উল্লেখ্য, দ্রাঘি সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন লেট্টা।
দ্রাঘি সরকারের পতনের পরেই মিলানের শেয়ার বাজার ২ শতাংশ নীচে নেমে যায়। গতকালও শেয়ার বাজার নীচে নেমেছিল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।