

ফের প্রচুর সংখ্যক শরণার্থীকে উদ্ধার করা হল। এবার ঘটনাস্থল ভূমধ্যসাগর। গত সপ্তাহের শেষে সি-ওয়াচ নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁদের উদ্ধার করে। তবে নৌকাডুবির জেরে বহু শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত রবিবারই জার্মানির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সি-ওয়াচ ভূমধ্যসাগর থেকে ৯৬ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। তার মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বাও আছেন। শেষ এক সপ্তাহে মোট উদ্ধার হয়েছে ৪৪৬ জন শরণার্থী। গ্রিস ও তিউনিশিয়ার কোস্ট গার্ডও কয়েকজন শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। তবুও ভিনদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানো সকলকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা যায়নি। নৌকাডুবিতে বহুজনের মৃত্যু হয়েছে। বহন ক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত মানুষ ছিল নৌকাতে। ফলে তা ভূমধ্যসাগরে ডুবে গিয়েছে বলে অনুমান।
বড়দিনের ঠিক আগে গ্রিসের কোস্ট গার্ড ২৭টি দেহ উদ্ধার করে। রবিবার লিবিয়ার উপকূলে ২৮টি দেহ ভেসে এসেছে। এখনও প্রচুর মানুষ নিখোঁজ। সি-ওয়াচ ইইউ-র অভিবাসন নীতিরও সমালোচনা করেছে।
অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ওই শরণার্থীরা লিবিয়া থেকে ইউরোপের দিকে যাচ্ছিলেন। নৌকা ভেঙে যাওয়ায় মাঝসমুদ্রে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের উদ্ধার করে লিবিয়ার সীমান্তে উত্তর তিউনিশিয়ার একটি বন্দরে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের আইওএমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত একটি হোটেলে রাখা হয়েছে।
আইওএম জানিয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার শরণার্থী লিবিয়া ছাড়েন, গত বছরের তুলনায় যা ৭০ শতাংশ বেশি। এঁদের প্রত্যেকের গন্তব্য ইউরোপ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভূমধ্যসাগরে ভাসমান একটি নৌকা থেকে তিউনিশিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী ২৬৭ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করে। তাঁদের মধ্যে ২৬৪ জন বাংলাদেশি ও বাকি তিন জন মিশরের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন