
জাপানের সংসদীয় নির্বাচনে জয়লাভ করলেন ৭৩ জন মহিলা প্রতিনিধি। ২০০৯ সালে জাপানের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন ৫৪ জন মহিলা প্রতিনিধি। জাপানের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুরুষদের চিরকালীন আধিপত্যের মাঝে এই ফলাফল যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।
সদ্যসমাপ্ত এই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে ১৮ আসন দূরেই থেমে যেতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইসিবার নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোটকে। এই জোটের মোট প্রাপ্ত আসন ২১৫। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে প্রয়োজন ২৩৩ আসন।
মূলত রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে দুর্নীতির অভিযোগ, ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ ক্রমশ বেড়ে চলার প্রভাব এই নির্বাচনী ফলাফলে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জাপানের নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশিত হবার পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দামে বড়ো পতন লক্ষ্য করা গেছে। যা গত তিন সপ্তাহের নিরিখে সবচেয়ে নিচে গিয়ে পৌঁছেছে।
বিগত নির্বাচনে এলডিপি জোটের দখলে ছিল ২৭৯ আসন। যদিও এবার এলডিপি এবং তাদের জোটসঙ্গী কোমিয়িতো মিলিতভাবে ২১৫ আসনে জয়লাভ করেছে। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো এলডিপি জোট। জাপানের দুই মন্ত্রী ছাড়াও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন কোমিয়িতো নেতা কেইচি ইসি।
জাপানের সংসদে এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও এই নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যভাবে উঠে এসেছে ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জাপান (সিডিপিজে)। গত নির্বাচনের ৯৮ আসন পাওয়া এই দল এবার পেয়েছে ১৪৮ আসন। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টি ফর দ্য পিপল (ডিপিপি) এবং জাপান ইনোভেশন পার্টি (জেআইপি) পেয়েছে যথাক্রমে ২৮ ও ৩৮ আসন। এই দুই দলের নেতা ইউচিরো তামাকি এবং নোবুয়িকি বাবা জানিয়েছেন তারা জোটে যোগ দেবেন না। তবে বর্তমান সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেবেন।
জাপানের সংসদের নিম্নকক্ষের ৫০তম নির্বাচনে ৮টি আসনে জয়ী হয়েছে জাপানিজ কমিউনিস্ট পার্টি (জেসিপি)। গত নির্বাচনে জেসিপি-র আসন সংখ্যা ছিল ১০। জেসিপি নেতা টোমোকো টামুরা জানিয়েছেন, তিনি আমরা এই নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়োগ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। আমরা মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন